হাসাহাসির জবাবে ট্রুডোকে ‘দুমুখো’ বলে ট্রাম্পের কটাক্ষ
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত হলো সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন। জোটের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সম্মেলনে যোগ দেন ২৯টি দেশের নেতারা। ন্যাটো জোটের সদস্যদের উত্তপ্ত বিতর্ক আর বিরোধের মধ্যে অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে কানাডাসহ কয়েকটি দেশের নেতাদের হাসাহাসির ভিডিও।
সম্মেলনে দেরিতে উপস্থিত হওয়ায় ট্রাম্পকে নিয়ে তাঁদের হাসাহাসির সে দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
আর ওই ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে এক বৈঠকের সময় ট্রুডোকে ‘দুমুখো মানুষ’ বলে কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প। গতকাল বুধবার সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট-ন্যাটোর যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৯ সালে। প্রতিষ্ঠার ৭০ বছরে আঞ্চলিক সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে।
ঐক্য ও সংহতির বদলে উত্তপ্ত বিতর্ক আর বিরোধে সৃষ্ট ফাটলের মধ্যেই ন্যাটোর দুদিনের সম্মেলনে যোগ দেন ২৯টি দেশের নেতারা।
এ সম্মেলনকে ঘিরে আগে থেকেই সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সম্মেলন চলাকালে যেন অন্তত নেতারা এ বিভক্তি ভুলে একতার পথে থাকেন, সে চেষ্টা চললেও সদস্য দেশগুলোর একের সঙ্গে অন্যের তীব্র বিরোধ তাতে ঢাকা পড়েনি।
তাই সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জোটের ঐক্য-সংহতির নীতি সব সদস্যকে মনে করিয়ে দেন।
কিন্তু সম্মেলনের প্রথম দিনে আলোচনার শুরুতেই সদস্য দেশগুলোর নেতাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা গেছে।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সাম্প্রতিক অভিযান, সামরিক খাতে সদস্য দেশগুলোর ব্যয় এবং ন্যাটো জোট সম্পর্কে ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিরূপ মন্তব্য নিয়েও নেতারা তর্ক-বিতর্ক করেছেন।
ন্যাটো জোটের সদস্যদের উত্তপ্ত বিতর্ক আর বিরোধের মধ্যে অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনে নতুন মাত্রা যোগ করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে কয়েকটি দেশের নেতাদের হাসাহাসি। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তাঁর দাবি, ট্রাম্পকে নিয়ে তাঁরা হাসাহাসি করেননি।
এদিকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন বাতিল এবং সময় সংক্ষিপ্ত করে সম্মেলন ছেড়েও চলে যান ট্রাম্প।
লন্ডনে এবার ন্যাটো জোটের সম্মেলন একের সঙ্গে অপরের এমন ঠোকাঠুকির মধ্য দিয়েই এগিয়েছে। তারপরও যৌথ বিবৃতিতে সংহতি বজায় রাখার পাশাপাশি চীনের উত্থান এবং রাশিয়ার হুমকির বিষয়ে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ন্যাটো নেতারা।