হুমকি দেওয়ায় প্রেসিডেন্টকে সেবা দেবে না জর্জিয়া এয়ারওয়েজ

Looks like you've blocked notifications!
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিচভিলিও দেশটির রাজধানী তিবিলিসিতে স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্য দিচ্ছেন। ছবিটি ২০২২ সালের ২৬ মে-তে তুলেছিল রয়টার্স

ইউক্রেনের রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই কিয়েভকে সমর্থন করে আসছে ইউরোপের দেশ জর্জিয়া। এরপরেও রাশিয়ার সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছিল দেশটির বেসরকারি বিমান সংস্থা জর্জিয়া ন্যাশনাল এয়ারওয়েজ। এর জেরে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট এয়ারলাইন্স কোম্পানিটিকে বয়কটের ডাক দেন। আর এতেই চটেছে জর্জিয়া এয়ারওয়েজের কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্টকে সেবা দেবে না বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্স কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা। আজ রোববার (২১ মে) রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস এই তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

আগে থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নেই এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের যুক্ত থাকা জর্জিয়ার। দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছিল মস্কো। তবে, চলতি মাসেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানায় রাশিয়া। ওই সময় মস্কো বলেছিল, জর্জিয়া ও রাশিয়ার সরাসরি ফ্লাইটের ওপর চার বছর আগে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, তা তুলে নেওয়া হবে। একইসঙ্গে, এক দশক আগে করা রাশিয়ায় ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক জর্জিয়ার নাগরিকদের ভিসা জটিলতা সহজ করা হবে।

রাশিয়ার এই উদ্যোগের বিরোধীতা করে জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিচভিলিও। তিনি কর্তৃপক্ষকে রাশিয়ার উদ্যোগকে ব্যর্থ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে, এটি অস্বীকার করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

বেসরকারি বিমান সংস্থা জর্জিয়ান এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা তামাজ জুরাবিচভিলিওর উদ্ধৃতি দিয়ে তাস জানিয়েছে, আজ জুরাবিচভিলিও বলেছেন, ‘যতদিন না পর্যন্ত জুরাবিচভিলিও তার কথার জন্য ক্ষমা না চাইবে, ততদিন পর্যন্ত আমার এয়ারলাইন্স তাকে কোনো সেবা দেবে না।’ তবে, এ নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট।

প্রতিবেদনে রয়টার্স বলছে, সরাসরি ফ্লাইটে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবরটি সাদরে গ্রহণ করেছে জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ। তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে থাকা দেশটির অনেক জনগণ এ নিয়ে আজ রাজধানী তিবিলিসিতে বিক্ষোভ করেছে।

সম্প্রতি বছরগুলোতে জর্জিয়ার সরকার রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উত্তরণে প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এমনকি, ইউরোপের দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলেও এতে চুপ জর্জিয়া। তবে, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার পক্ষে নন প্রেসিডেন্ট জুরাবিচভিলিও। জর্জিয়ার বর্তমান সরকারের সঙ্গে টানাপোড়ন চলা এই প্রেসিডেন্টের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করা দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া সম্ভাবনাকে হুমকিতে ফেলবে।