হুয়াওয়ে মালিকের মেয়েকে মুক্তি দিল কানাডা, চীনে দুই কানাডীয় মুক্ত

Looks like you've blocked notifications!
হুয়াওয়ে’র প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে এবং কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু এবং চীনে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক হওয়া কানাডার দুই নাগরিক মিশেল স্প্যাভর ও মিশেল কোভরিগ। ছবি : সংগৃহীত

চীনে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক থাকা কানাডার দুই নাগরিক মিশেল স্প্যাভর এবং মিশেল কোভরিগ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে আজই চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে কানাডা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরোয়ানায় কানাডায় গ্রেপ্তার হওয়া হুয়াওয়ে’র প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে ও কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুকে মার্কিন আদালতের সঙ্গে সমঝোতার পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তির পরপরই তিনি চীনের শেনজেনগামী এয়ার চায়নার একটি বিমানে করে কানাডা ছেড়ে যান।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কূটনৈতিকদের ব্যাপক আলোচনার পর মেং ওয়ানঝু ছাড়া পেলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ছিল—তিনি ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিয়ে হুয়াওয়ের ব্যবসা সম্পর্কে আমেরিকান ব্যাংকগুলোকে মিথ্যা বলেছিলেন। তবে মিজ মেং এবং হুয়াওয়ে উভয়েই ওই অভিযোগ অস্বীকার করে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, তারা মামলা স্থগিতের একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন।

এর মানে হলো, মিজ মেং এর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলার কার্যকলাপ স্থগিত রাখবে বিচার বিভাগ। এর মধ্যে আদালতের নির্ধারিত শর্তগুলো যদি তিনি মেনে চলেন, তাহলে পুরো মামলাই বাতিল করা হতে পারে। তিন বছর ধরে তিনি ভ্যাঙ্কুভারে তাঁর বাবার মালিকানাধীন একটি বাড়িতে গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন।

চুক্তির অংশ হিসেবে মেং স্বীকার করে নিতে রাজি হয়েছেন যে, এইচএসবিসি ব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্য দেয়ার বিষয়টি তিনি জানতেন।

মেং ওয়ানঝুর মুক্তির পরপরই চীনে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন দুই কানাডীয়। মেংকে কানাডা গ্রেপ্তার করার পরপরই ২০১৮ সালে মিশেল স্প্যাভর এবং মিশেল কোভরিগকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীন গ্রেপ্তার করেছিল।