১০ ঘণ্টার উত্তেজনা-নাটকীয়তা শেষে টেক্সাসের সিনাগগে জিম্মি সংকটের অবসান

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি ইহুদি উপাসনালয়ে ১০ ঘণ্টাব্যাপী চলা জিম্মি সংকটের অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার ডালাসের শহরতলীর কোলিভিলের ওই উপাসনালয়ে সকালের প্রার্থনা চলাকালে এক ব্যক্তি চারজনকে জিম্মি করেন। ১০ ঘণ্টার উত্তেজনা-নাটকীয়তা শেষে জিম্মিরা অক্ষত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন।

বিবিসি জানায়, জিম্মিদের উদ্ধারে পুলিশ বিশেষ অস্ত্রধারী দলকে মোতায়েন করেছিল; এফবিআইয়ের মধ্যস্থতাকারীরা জিম্মিকারীর সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথাও বলেছেন।

জিম্মিরা বেরিয়ে আসার কিছুক্ষণ আগে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। পুলিশ পরে জিম্মিকারীর মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করে।

যে চারজনকে জিম্মি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে উপাসনালয়ের ধর্মগুরুও (রাবাই) ছিলেন বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম।

জিম্মি করার ৬ ঘণ্টা পর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তারও কয়েকঘণ্টা পর বাকি তিনজনের মুক্তি মেলে।

উদ্ধারকারী দল জিম্মিদের মুক্ত করতে উপসনালয়ের ভেতর ঢুকে পড়েছিল। তবে জিম্মিকারীর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এবং তার পরিচয় কি তা এখনও স্পষ্ট হওয়া যায়নি।

বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার বেলা ১১টার দিকে কংগ্রেগেসন বেথ ইসরায়েল সিনাগগে জিম্মি সংকটের সূচনা হওয়ার পরপরই খবর পায় পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে ওই এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ফেইসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত ওই প্রার্থনার মধ্যে এক ব্যক্তির জোরে বলা কথা শুনতে পাওয়া যায়।

তাকে ‘ফোনে আমার বোনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দাও’ এবং ‘আমি মারা যাবো’ বলতে শোনা যায়।

‘আমেরিকার কিছু ভুল আছে,’ বলছিলেন ওই ব্যক্তি। পরে ফেইসবুকের ওই ফিড বন্ধ করে দেওয়া হয়।