১৪ নারীকে বিয়ে করে অবশেষে গ্রেপ্তার

একে একে ১৪ নারীকে বিয়ে ও তাঁদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভারতের ওডিশা রাজ্যের ভুবনেশ্বর থেকে গতকাল সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ব্যক্তির বয়স ৬০ থেকে ৬৯ বছরের মধ্যে। ভারতের ৭ রাজ্যে তিনি এ বিয়েগুলো করেছেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তি নিজেকে একজন চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তাঁর ১৪ স্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী, চিকিৎসক ও উচ্চশিক্ষিত নারী। তাঁদের মধ্যে আধা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেন এমন নারীও রয়েছেন।
বিয়ের পর স্ত্রীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওডিশা রাজ্যের কেন্দ্রাপাড়া এলাকার পাটকুরা থানার একটি গ্রামে ওই ব্যক্তির বাড়ি।
ভুবনেশ্বর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার উমাশঙ্কর দাশ বলেন, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ১৯৮২ সালে প্রথমবার বিয়ে করেন। ২০০২ সালে করেন দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে তাঁর পাঁচ সন্তান রয়েছে।

এ ছড়া ২০০২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিয়ে–সংক্রান্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিনি নারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। এরপর ওই নারীদের বিয়ে করেন। সর্বশেষ স্ত্রীর সঙ্গে ওই ব্যক্তি ওডিশার রাজধানীতে বসবাস করছিলেন। ওই স্ত্রী দিল্লির একজন স্কুলশিক্ষক। স্ত্রী কোনোভাবে ওই ব্যক্তির আগের বিয়ের খবর জেনে যান। এরপর তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
ডেপুটি উপকমিশনার বলেন, ভাড়া করা যে বাড়িতে সর্বশেষ স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন, সেখান থেকেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মধ্যবয়সী, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে, এমন নারীদের বিয়ে করতেন। বৈবাহিক ওয়েবসাইট ঘুরে এমন নারীদের বেছে নিতেন। আরেকটি বিয়ে করার আগে আগের স্ত্রীর অর্থ আত্মসাৎ করতেন।
ওই ব্যক্তি যে সাত রাজ্যের নারীদের বিয়ে করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, পাঞ্জাব, আসাম, ঝাড়খন্ড ও ওডিশা। তাঁর প্রথম দুই স্ত্রী ওডিশার।