১৭৬ নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু ক্ষমার অযোগ্য ভুল : ইরানি প্রেসিডেন্ট
নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দেশটির রাজধানী তেহরানে ১৭৬ আরোহী নিয়ে ইউক্রেন এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্ত হওয়াকে ‘চরম মর্মান্তিক’ ও ‘ক্ষমার অযোগ্য ভুল’ বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
এক টুইটবার্তায় রুহানি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর নিজস্ব তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, দুঃখজনকভাবে মানবীয় ভুলে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের বিমানটি ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হয়ে ১৭৬ নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হয়।’
‘চরম মর্মান্তিক ও ক্ষমার অযোগ্য এই ভুলের ঘটনার বিচার করতে বিশদ তদন্ত চলছে,’ যোগ করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ‘মানবীয় ভুলে’ বিমান দুর্ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। টুইট বার্তায় জাভেদ জারিফ জানান, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, ‘মার্কিন পদক্ষেপের কারণে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে মানবীয় ভুল হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চরম উত্তেজনাময় টানাপোড়েনের মধ্যে এমন ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান। তেহরান বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর ১৭৬ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত ইউক্রেন এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমানটি ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ ভূপাতিত করা হয়েছে বলে এরই মধ্যে স্বীকার করেছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে এ কথা বলা হয়।
আজ শনিবার সকালে টিভিতে সামরিক বাহিনীর একটি বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়, তাতে বলা হয়, ‘মানবীয় ভুলে’ এমন কাণ্ড ঘটে গেছে। জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
গত বুধবার সকালে তেহরানে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তেহরানের কাছেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ইরান অবশ্য শুরু থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।
সর্বশেষ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতকাল শুক্রবার আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাতেই বিমানটি ভূপাতিত হয়েছে। ওই বিমানে ৬৩ জন কানাডার নাগরিক ছিলেন। ফলে বিমান বিধ্বস্তের বিষয়ে কানাডায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিমানটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়।
মার্কিন হামলায় গত ৩ জানুয়ারি ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহতের প্রতিশোধে গত বুধবার ইরাকে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সেদিনই ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবরের কিছুক্ষণ পর জানা যায়, ইউক্রেন এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট বিধস্ত হয়ে এর ১৭৬ আরোহীর সবাই মারা গেছেন।