২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে চায় ভারত
২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। সোমবার স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় ২৬তম জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৬) মূল অধিবেশনের ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দেশের এই পরিকল্পনার কথা জানান। খবর রয়টার্সের।
জলবায়ুর বিপর্যয়কর প্রভাব এড়াতে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। যোগ দেওয়া দেশগুলো ওই সময়ের মধ্যেই নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেবে, কপ২৬ সম্মেলনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যও তাই।
কিন্তু ভারতের ঘোষিত লক্ষ্য ওই সময় থেকে ২০ বছর পরে নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও ভারত এই গ্লাসগো সম্মেলনেই প্রথমবারের মতো নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার একটি লক্ষ্যের কথা জানাল।
ভারতের এই লক্ষ্য নির্ধারণের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বিশ্ব জনসংখ্যার ১৭ শতাংশের বাস ভারতে কিন্তু বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের মাত্র পাঁচ শতাংশের জন্য দায়ী তারা। ভারত তার জলবায়ু প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি মেনে চলবে বলে জানান তিনি।
কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা বলতে বোঝানো হচ্ছে, বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাস আর যুক্ত না করা।
চীন ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০৫০ সালের মধ্যেই ওই লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউয়ের পর বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ ভারত।
কিন্তু দেশটির বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় তাদের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণের হার অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। ২০১৯ সালে ভারতের মাথাপিছু কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ১ দশমিক ৯ টন ছিল, আর ওই একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু নিঃসরণ ছিল ১৫ দশমিক ৫ টন এবং রাশিয়ার ১২ দশমিক ৫ টন।
সম্মেলনে মোদি তাঁর দেশের হয়ে পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দেন, তার মধ্যে ২০৭০ সালের মধ্যে নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা ছিল একটি।