ব্রাজিলে স্ত্রীর প্রেমিকের গুলিতে গ্রিসের রাষ্ট্রদূত নিহত

Looks like you've blocked notifications!
ব্রাজিলে নিযুক্ত গ্রিসের রাষ্ট্রদূত কিরিয়াকস আমিরিদিস। পুরোনো ছবি

ব্রাজিলে নিযুক্ত গ্রিসের রাষ্ট্রদূত কিরিয়াকস আমিরিদিসকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির রিও ডি জেনিরো শহরতলির একটি বাড়ি থেকে রাষ্ট্রদূতের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে বিবিসির এক খবরে জানানো হয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রদূতের লাশের সন্ধান পাওয়ার পর ব্রাজিলের খ্যাতনামা গ্লোবো টিভি জানায়, ব্রাজিলেরই এক পুলিশ কর্মকর্তা আমিরিদিসকে হত্যা করেছেন। সার্জিও মোরেইরা নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূতের ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী ফ্রানকোয়িসের প্রেমিক।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা মোরেইরা রাষ্ট্রদূত আমিরিদিসকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গ্লোবো টিভি আরো জানিয়েছে, ফ্রানকোয়িস ও মোরেইরা মিলে আগে থেকেই এ হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। আমিরিদিসের স্ত্রী এবং অভিযোগ থাকা পুলিশ কর্মকর্তা থানা হেফাজতে আছেন।

৫৯ বছর বয়সী গ্রিসের রাষ্ট্রদূত গত সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার তাঁর ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী ফ্রানকোয়িস স্থানীয় পুলিশের কাছে তাঁর হারানোর খবর লিপিবদ্ধ করেন। এই দম্পতির ১০ বছর বয়সী একটি মেয়েসন্তান আছে।     

গ্লোবো টিভির খবরে জানা যায়, রাষ্ট্রদূতের নিখোঁজের তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁর স্ত্রীর প্রেমিকের কথা জানতে পারে। এর পর ২৯ বছর বয়সী রিও ডি জেনিরোর পুলিশ কর্মকর্তা সার্জিও মোরেইরার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই আমিরিদিসের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মোরেইরা জানান, সোমবার রাতে তিনি নোভা লোগোয়াকু এলাকায় আমিরিদিসের বাড়িতে তাঁকে হত্যা করেন। এর পর তাঁর লাশ ওই বাড়ির বাগানে পুঁতে রাখেন।

তবে এ বিষয়ে রিও ডি জেনিরোর পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কেউই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ব্রাজিলের গ্রিস দূতাবাস কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।

গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্তরাতোস ইফথেমিওসও জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সরকারের কোনো মন্তব্য নেই।

আমিরিদিস ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলে কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর ২০১২ সাল থেকে তিনি লিবিয়ায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি আবার তাঁর পুরোনো কর্মস্থল ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূত হয়ে ফিরে যান।