সাগরের তলদেশে ভিনগ্রহের যান!
বাল্টিক সাগরের তলদেশে এবার ‘রহস্যময়’ এক যানের সন্ধান পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেটিকে এলিয়েনদের (ভিনগ্রহী) যান বলে দাবি করছেন অনেকে।
কয়েকদিন আগে মিসরের প্রাচীন পিরামিডের কাছে একটি রহস্যময় কফিন পাওয়া যায়। সেটিকেও ভিনগ্রহী কফিন বলে দাবি করা হয়।
সুইডেনের মহাসাগর অনুসন্ধানকারী পিটার লিন্ডবার্গ এবং ওশান এক্স দল বাল্টিক সাগরের প্রায় ৩০০ ফুট নিচে এই রহস্যময় যানের সন্ধান পেয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার এ খবর জানিয়েছে। অনুসন্ধানকারীরা যানের একটি ভাঙা অংশ খুঁজে পেয়েছেন।
ডেনিস আসবার্গ নামের মহাসাগর অনুসন্ধান দলের একজন সুইডিশ টেলিভিশনকে বলেন, সেখানে ২০ থেকে ২৫ মিটার লম্বা একটি পর্বত রয়েছে। যার মাঝখানে রয়েছে গিরিখাত এবং নিচে অসংখ্য পাথর ছড়িয়ে আছে।
ডেনিস আরো বলেন, ‘আমরা সত্যিই আশ্চর্য ও হতভম্ব হয়েছি। আমরা ভাবছি যে আসলে এটি কী খুঁজে পেয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ভূতত্ত্ববিদ, সমুদ্র জীববিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যখন তাঁরা বলেন এ রকম কোনো কিছু তাঁরা কখনোই দেখেননি, তখন অবশ্যই সেটি আমাদের আরো ভাবায়। এটা অসাধারণ কিছু হতে পারে, যা আমরা খুঁজে পেয়েছি।’
তবে কেউ কেউ বলছেন, এটি একটি ডব্লিউ ডব্লিউ-২ ডিভাইস। ডুবো জাহাজকে ধ্বংস করার জন্য যুদ্ধজাহাজের কামান রাখার চূড়া। অথবা অবশ্যই এটি এলিয়েনদের যান। যেটি প্রাচীন মিসরের পিরাডিমের কাছে পাওয়া রহস্যময় কফিনের মতোই এসেছে।
ভূতত্ত্ববিদ স্টিভ উইনারের বিশ্বাস, এর গঠন প্রাকৃতিক নয় এবং এর যন্ত্রপাতি দেখে মনে হচ্ছে এটি পুনরায় নিজের থেকে তৈরি হওয়ার মতোও নয়।
পিটার লিন্ডবার্গ বলেন, ‘আমার খুব সন্দেহ হয়েছিল। আমি এটি শুধুই একটি পাথর হিসেবে খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। এটা ছিল আমার জন্য চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা।’
পিটার আরো বলেন, ‘এর গঠন আমার কাছে খুব উদ্ভট মনে হয়েছে। এটা ব্যাখ্যা করা খুবই কঠিন যে আসলে এটি কী। বিভিন্ন বিজ্ঞানীর কাছে এর বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে। যাইহোক বাল্টিক সাগরের তলদেশে এটি প্রাকৃতিকভাবে বসে আছে আমরা এমনটা খুঁজে পাইনি।’