স্থলসীমান্ত চুক্তি বার্লিন দেয়াল পতনের মতো : মোদি

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের দৈনিক ‘দ্য ট্রিবিউন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। ছবি : দ্য ট্রিবিউন

বাংলাদেশ ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তিকে বার্লিন দেয়ালের পতনের সঙ্গে তুলনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশ সফরের মাত্র এক সপ্তাহ আগে নরেন্দ্র মোদি স্থলসীমান্ত চুক্তির গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি মোদি। 

ভারতের দৈনিক ‘দ্য ট্রিবিউন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। 

সাক্ষাৎকারে ভারতের ‘দ্য ট্রিবিউন’-নিউজপেপার গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাজ চেনগাপ্পার প্রশ্ন ছিল সফরে তিস্তা চুক্তি হবে কি না? এর জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘সব দলের সঙ্গে সমঝোতার মধ্যে দিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছেন। তবে সংবাদমাধ্যমগুলো এর গুরুত্ব তেমনভাবে উপলব্ধি করতে পারছে না বলেই অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলছে। বিশ্বের অন্য কোথাও সীমান্ত চুক্তির মতো ঘটনাকে বার্লিন দেয়াল পতনের মতো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হতো।’
 
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমাদের প্রতি প্রতিবেশীদের মনোভাব নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন হয়েছে। কারণ আমাদের বার্তা ছিল উন্নয়নে অংশীদার হওয়া। আমার কূটনীতি হলো বাস্তবসম্মত ও ফলপ্রসূ।’   

বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তির মতো পরবর্তীকালে চীনের সঙ্গে বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে কোনো সমঝোতা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মোদি বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং বুঝতে পেরেছি বিশ্বাসের একটি জানালা এখনো খোলা আছে। এখন দেখা যাক এটি আমাদের কোন পর্যন্ত নিয়ে যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘সম্পর্ক উন্নয়নে আমি গভীরভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ 

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং সীমান্তে বিরোধ মেটানোই তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। এটি শুধুমাত্র তখনই সম্ভব হবে যখন লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (ভারত-চীন সীমান্ত) শান্তি আনা সম্ভব হবে। প্রত্যেকের বিষয়েই অপরকে গুরুত্ব দিতে হবে।’ দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ সমঝোতার পথ প্রশস্ত করবে বলে তিনি আশা করেন। 

আগামী ৬ ও ৭ জুন বাংলাদেশ সফর করবেন নরেন্দ্র মোদি। এই সময় পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোর মুখ্যমন্ত্রীরাও তাঁর সঙ্গে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।