কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা রুটে পরীক্ষামূলকভাবে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। ভারতের স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলকাতার সল্টলেকের করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটির যাত্রা শুরু হয়। এদিন ‘ডব্লিউ বি ২৩ ডি ১২০৩’ নম্বরের বাসটির যাত্রা উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগামী ৪ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা রুটে এই বাস চলাচল শুরু হবে। তবে সোমবার এই বাসে সওয়ারি হন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেশ কয়েকজন সচিব ও উচ্চপদস্থ আধিকারিক।urgentPhoto

পরীক্ষামূলক এই বাসযাত্রার উদ্বোধনের পর পরিবহন সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাসটি বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তে যাওয়ার পরই সেখানে বাংলাদেশ সরকারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাসটিকে স্বাগত জানাবে। তার পর বাংলাদেশের ওই প্রতিনিধিদল বাসে করেই আগরতলা পর্যন্ত যাবে। বাংলাদেশ ছেড়ে ত্রিপুরা সীমান্তে ঢোকার মুখে একই কায়দায় ত্রিপুরা সরকারের প্রতিনিধিদল বাসটিকে স্বাগত জানাবে। তার পরেই বাসটি আগরতলা গিয়ে পৌঁছাবে।

প্রসঙ্গত, মোদি-মমতার বাংলাদেশ সফরের আগেই এই বাসযাত্রার মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যে আরো নিবিড় হবে, সেই আশা ব্যক্ত করেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই। ৩ জুন আগরতলা থেকে বাসটি ফের ঢাকা হয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে এই পারমিট (অনুমতি) পাওয়ায় এক ধাক্কায় পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই কমে গেল। ভারতের মধ্য দিয়ে কলকাতা থেকে গুয়াহাটি হয়ে আগরতলা পৌঁছাতে সড়কপথে দূরত্ব ছিল প্রায় এক হাজার ৬৫০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়ার ফলে সেই দূরত্ব কমে দাঁড়াল মাত্র ৫১৩ কিলোমিটারে।