৭২৭ অভিবাসীকে 'নিরাপদ স্থানে' নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার
আন্দামান সাগর থেকে উদ্ধার করা ৭২৭ অভিবাসীকে বাংলাদেশের জলসীমায় না পাঠিয়ে একটি 'নিরাপদ জায়গায়' নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। সেখানে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী ইয়ে তুত রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন। এসব অভিবাসীকে বাংলাদেশের পথে পাঠানো হবে এমন মন্তব্য সংশোধন করে তিনি নতুন এ তথ্য জানান।
ইয়ে তুত বলেন, ‘কার্যক্রমটি শুরু হয়েছে। তাদের একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’urgentPhoto
তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে এই অভিবাসীদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছুই জানাননি তিনি।
গত শুক্রবার একটি মাছ ধরার নৌকায় করে সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় এই অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়। মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাদের খাবার ও পানীয় দিচ্ছে বলেও জানান দেশটির তথ্যমন্ত্রী।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, চার দিন আগে শুক্রবার সকালে আন্দামান সাগরে একটি ট্রলার আটক করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এতে ৭২৭ অভিবাসী রয়েছে, যাদের ৭৪ জন নারী আর ৪৫ শিশু। ট্রলারটি এখনো সমুদ্রে ভাসছে।
মিয়ানমারের কর্মকর্তারা জানান, অভিবাসীদের পরিচয় যাচাই করে দেখছেন তাঁরা। কোন দেশ থেকে তারা এসেছে আর কোথায় যেতে চায়, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে অভিবাসীদের কাছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নেওয়া তিন হাজার ৭০০ অভিবাসীর মধ্যে অর্ধেকের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকা দ্য সানডে মর্নিং হেরাল্ডের এক রিপোর্টে বলা হয়, একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৬৫ অবৈধ অভিবাসীকে দুটি ট্রলারে করে গভীর সমুদ্রে ঠেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনী। চার নারী ও তিন শিশুসহ এই ৬৫ অভিবাসী এক ট্রলারে করে গত মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে ভেড়ে। এদের মধ্যে ৫৪ জন শ্রীলংকার, ১০ জন বাংলাদেশের ও একজন মিয়ানমারের নাগরিক।
পত্রিকাটি আরো জানায়, পরে নীল ও সাদা নৌকায় ভাসমান এসব মানুষকে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী উদ্ধার করে।