ইতালিতে তুষারধসে ‘বহু নিহত’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/01/19/photo-1484818587.jpg)
ইতালিতে তুষারধসে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইতালির এক উদ্ধারকারী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, আবরুজো প্রদেশের রুজোপিয়ানো হোটেলে ‘বহু প্রাণহানির’ আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে একটি বড় হিমবাহের আঘাতের পর হোটেলটি বরফের নিচে পড়ে। এতে ওই হোটেলে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রাণ হারায়। ধারণা করে হচ্ছে, গতকালের ভূমিকম্পে এই বড় হিমবাহটি সচল হয়েছিল।
গ্রান সাসো পর্বতমালার কাছে ওই হোটেলটির অবস্থান। স্থানীয় সময় বুধবার সারা রাত উদ্ধারকারী দল ওই হোটেলটির কাছে পৌঁছার চেষ্টা চালায়।
কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে হোটেলটির কাছে পৌঁছাতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। অবশেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
ইতালির পার্বত্য অঞ্চলের উদ্ধারকারী দলের প্রধান আন্তোনিও ক্রোসেট্টা বিবিসিকে বলেন, ‘হোটেলটিতে বহু লোক মারা গেছে।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হোটেলটি থেকে ৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, হোটেলে নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পাওলো জেন্তিলোনি। তিনি বলেছেন, ‘বুধবার ইতালির জন্য একটি শোকের দিন।’
ইতালির আবরুজো প্রদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। এর আগে গত বছরের ২৪ আগস্ট একই প্রদেশে ভূমিকম্পে ২৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গতকাল বুধবারও আবরুজোসহ ইতালির মধ্যাঞ্চলে ৫০ মিনিটের ব্যবধানে তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আবার ভূমিকম্প হয়।
ইউরোপের ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের (ইএমএসসি) তথ্যমতে, প্রথম ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৩। এর ৫০ মিনিট পর দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পটির মাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৭। তৃতীয় ভূমিকম্পটি ছিল ৫ দশমিক ৫ মাত্রার। আর চতুর্থটি ৫ দশমিক ৬ মাত্রার।
ভূমিকম্পের পর রোমের পাতাল ট্রেন সেবা স্থগিত করা হয় এবং শহর-গ্রামে শিশুদের স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তুষারপাতের কারণে শহর ও গ্রামের যে স্কুলগুলো আগে থেকে বন্ধ করা হয়েছিল না, ভূমিকম্পের পর সেগুলোও বন্ধ করা হয়।
গত বছর দেশটির পাহাড়ি অ্যামাট্রিসা শহরে তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। তাতে ভবনধসে অন্তত ৩০০ জন মারা যান।
অ্যামাট্রিসা শহরের মেয়র সার্জিও পিরোজ্জি বলেন, ‘আমরা খারাপ কী করেছি, আমি জানি না। এ বিষয়টি আমি গতকাল থেকেই বলছি। আমরা দুই মিটার পুরো তুষারের মধ্যে পড়েছি আর এর মধ্যে ভূমিকম্প হলো। আমি কী বলব? আমার ভাষা নেই।’