মণিপুরে ২০ সেনা হত্যা, এনএসসিএন ও উলফার দায় স্বীকার
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ২০ সৈন্য হত্যার দায় স্বীকার করেছে আঞ্চলিক বিদ্রোহী সংগঠন ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (এনএসসিএন) ও ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা)।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে ২০ সৈন্যকে হত্যাকাণ্ডের এ দায় স্বীকার করা হয়। তারা জানায়, যৌথ পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
আজ সকাল পৌনে ৯টায় চান্দেল জেলায় এই জঙ্গি হামলায় অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ১২ জন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর ডোগরা কমান্ডের ছয়টি গাড়ি রাজ্যটির সীমান্তবর্তী সেনাঘাঁটি মৌতুল থেকে রাজধানী ইম্ফলে যাওয়ার পথে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, রকেট লঞ্চার, গ্রেনেডসহ ভয়ঙ্কর অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গিরা অতর্কিতে এ হামলা চালায়।
সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, গাড়িবহর পারালং ও চারং গ্রামের মাঝামাঝি পৌঁছালে বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর চারটি গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট-চালিত গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। গ্রেনেডের আঘাতে সৈন্যদের দেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে কারগিল যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারতীয় সেনাবাহিনী এত ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এর আগে গতকাল বুধবার মণিপুর-মিয়ানমার সীমান্তে উখরুল জেলায় হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন ভারতীয় সেনা। গুরুতর আহত হয়েছেন দুজন।
মিয়ানমার ও মণিপুরের মাঝে প্রায় ৩৯৮ কিলোমিটার অসংরক্ষিত সীমানা রয়েছে। এই অসংরক্ষিত এলাকা কমপক্ষে ৪০টি জঙ্গি ঘাঁটির ঠিকানা। যার মধ্যে ২০টি গোষ্ঠী ভারতের মণিপুর রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বাকিরা ওই এলাকায় নিজেদের একটি আলাদা দেশসহ বিভিন্ন দাবিতে সরকারের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।