মোদি মমতার ঢাকা সফর নিয়ে রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে যাওয়া নিয়ে আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী।
কলকাতার নেতাজি সুভাস বোস সম্মেলন কেন্দ্রে কংগ্রেসের এক কর্মিসভায় রাহুল বলেন, মমতা এখন নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেছেন। মনমোহনের সময় বাংলাদেশে যাননি মমতা। অথচ মোদির সফরসঙ্গী হয়ে তিনি ঢাকায় চলে গেলেন।
এর পেছনে সমীকরণ স্পষ্ট। তবে রাহুল এদিন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের মতো মমতা-মোদির এই সম্পর্ক নিয়ে বেশি পানি ঘোলা না করে উল্টো তিনি মমতাকে উদ্দেশ করে বলেন, মমতার রক্তে কংগ্রেস মিশে আছে। তাই বিজেপির হাত ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরুন।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গেই ২০১১ সালে ঢাকা সফরে যাওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু প্রায় শেষ মুহূর্তে সেই সফরে মনমোহনের সফরসঙ্গী হতে অস্বীকার করেন মমতা আর ছিটমহল বিনিময় এবং তিস্তার পানিবণ্টন– দুটি বিষয়েরই প্রবল বিরোধিতা শুরু করেন।
সেই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী আজ কলকাতায় দলীয় কর্মীদের এক সভায় বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেছিলেন। তখন তিনি ঢাকা সফরে যেতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু এখন মোদির বেলায় আর একলা চলো রে নীতি নেই। একসঙ্গেই ঢাকায় গেছেন দুজনে।’
এদিন রাহুল মোদিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। রাহুল মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী এখন উন্নয়নের থেকেও ব্যায়াম নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকছেন। এর আগে শনিবার সকালে রাহুল গান্ধী দিল্লি থেকে এসে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার রিসড়ায় যান। সেখানে শ্রমিকদের এক সভায় দাঁড়িয়ে রাহুল বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বুকে উন্নয়নের গতিতে ব্রেক লাগিয়ে দিয়েছে তৃণমূল এবং বামপন্থীরা। প্রথমে বামপন্থীরা এই রাজ্যের উন্নয়নকে বন্ধ করেছে, পরে তৃণমূল এসে সেই উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। আগে বামপন্থীরা যা করতেন, এখন তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই করছেন।
রিসড়ার শ্রমিক সভায় দাঁড়িয়ে রাহুল আরো বলেন, ‘যেখানেই দুর্বল লোকেরা রয়েছেন, সেখানেই রাহুল গান্ধীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবেন। যতদিন ভারতের মাটিতে কংগ্রেস ফের ক্ষমতায় না আসছে, ততদিন এই দেশে উন্নয়নের গাড়ি এগোবে না। কৃষকদের স্বার্থ নিয়ে এরই মধ্যে সংসদে সরব হয়েছি, এবার শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে সরব হব। একমাত্র কংগ্রেসই পারে সামগ্রিক উন্নয়ন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।’