সাজা শেষ তবু পশ্চিমবঙ্গে বন্দী বহু বাংলাদেশি
পশ্চিমবঙ্গের কারাগার ও বিভিন্ন সংশোধনাগারে বাড়ছে সাজার মেয়াদ পার হয়ে যাওয়া বাংলাদেশি বন্দীর সংখ্যা। কর্মকর্তারা বলছেন, নানা জটিলতায় ওই সব বাংলাদেশি বন্দীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না। ফলে অসহায় বন্দিদশায় ধুঁকছে তারা।
পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মহাপরিদর্শক অধীর শর্মা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে মোট তিন হাজার ১১০ জন বাংলাদেশি বন্দী রয়েছে, যার মধ্যে ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ অর্থাৎ ৯৩২ জন বন্দীর সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অথচ তাদের মুক্তি দেওয়া যায়নি। এদের মধ্যে পুরুষ রয়েছে ৮৩৩ জন এবং নারী ৯৯ জন। এ ছাড়া সংশোধনাগারে বন্দী আছে ১৬৭ শিশু।
অধীর শর্মা আরো জানান, সংশোধনাগারের ধারণক্ষমতা ২০ হাজার ৯১৬ জন হলেও বর্তমানে আছে প্রায় ২৪ হাজার। কারাগার ও সংশোধনাগারে ধারণক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত বন্দী থাকায় সাজার মেয়াদ পার হয়ে যাওয়া ওই সব বন্দীকে নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা চিন্ময় সামন্ত বলেন, বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় এ নিয়ে দিনদিন সমস্যা বাড়ছে। মূলত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পশ্চিমবঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড এবং বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশি বন্দীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নিয়ম। আর এসব প্রক্রিয়া শেষ করে সাজাপ্রাপ্তকে ফেরত পাঠানো প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। এর ওপর বাংলাদেশ সরকার কাউকে নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করলে অগত্যা তাঁকে জেলেই রেখে দিতে হয়। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সাজার মেয়াদ শেষ হওয়া বাংলাদেশি বন্দীদের হস্তান্তর কার্যত ঝুলেই থাকছে।