ঝাড়খন্ডে সিআরপিএফ-মাও সংঘর্ষ, নিহত ১২ মাওবাদী
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিশেষ পুলিশ বাহিনী সিআরপিএফের সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১২ মাওবাদী নিহত হয়েছে। সোমবার রাতে রাজ্যের রাজধানী রাঁচির কাছে সাতবাড়ওয়ার অঞ্চলের পলামুর-বকোরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
urgentPhoto
গোপন সূত্রে সিআরপিএফ খবর পায়, ঝাড়খন্ডের সাতবাড়ওয়ার অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদীরা কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এ কারণে সোমবার রাত থেকে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে সিআরপিএফ। রাতে পলামুর-বকোরিয়া গ্রামের সন্দেহভাজন একটি গাড়িকে সিআরপিএফ জওয়ানরা থামার নির্দেশ দেন। গাড়িটি না থামিয়ে দ্রুত চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন এর আরোহীরা। এ সময় সিআরপিএফ সদস্যরা গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির ভেতর থেকেও পাল্টা গুলি করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। গাড়ির ভেতর থেকে গুলিবর্ষণ থেমে গেলে জওয়ানরা গাড়ির কাছে যান। গাড়ির ভেতর থেকে ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২০০টি গুলি উদ্ধার করা হয়। গাড়ির ভেতর কিছু অর্থও পাওয়া যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে পলামুর এলাকার আইজি এ নটরাজন এবং পুলিশ সুপার ময়ূর পাটেল ঘটনাস্থলে যান।
আইজি এ নটরাজন বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সংঘর্ষ শেষ হয়। ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরা প্রত্যেকেই মাওবাদী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নিহতদের মধ্যে কোনো শীর্ষ নেতা আছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় মাওবাদীদের অপর একটি গাড়ি গেছে। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ১২ মাওবাদীর মৃত্যু ঘটায় ঝাড়খন্ডে মাওবাদী কার্যকলাপে বড়সড় ধাক্কা লাগল বলে মনে করে পুলিশ।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল এ অঞ্চলে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায় মাওবাদীরা। সে হামলায় আট পুলিশ সদস্য মারা যান।