রাম মন্দির নয়, অযোধ্যায় সংগ্রহালয়ের ভাবনা
ভারতের অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে খানিকটা পিছিয়ে এবার ‘রাম সংগ্রহালয়’ গড়ার পরিকল্পনা করছে বিজেপি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগেই এই ‘রাম সংগ্রহালয়’ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পর্যটনমন্ত্রী মহেশ শর্মা। গত মঙ্গলবার অযোধ্যায় প্রস্তাবিত এই ‘রাম সংগ্রহালয়’ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
এর আগে বিভিন্ন সময় ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলগুলো অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানগুলোতে রামমন্দির নির্মাণের হুমকি দিয়ে আসছিল। এমনকি মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মতো কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলের নেতারা প্রকাশ্যে এসব রামমন্দির নির্মাণের হুমকি-ধমকি দেন।
তবে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন অযোধ্যা সমস্যা নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে সব সম্প্রদায়ের সহমতের ভিত্তিতে অযোধ্যা ইস্যুর সমাধান করা হবে।
কিন্তু ভারতের পর্যটনমন্ত্রী মহেশ শর্মা বলেন, রামমন্দির নির্মাণের পথ কণ্টকাকীর্ণ হলেও ‘রাম সংগ্রহালয়’ গড়ার পথ দুর্গম হবে না। তিনি বলেন, মন্দির তো গড়া হচ্ছে না। পর্যটন প্রসারের কথা মাথায় রেখেই ‘রাম সংগ্রহালয়’ গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে গড়ে তোলা হবে এই ‘রাম সংগ্রহালয়’।
প্রস্তাবিত এই সংগ্রহালয়টি গড়তে এক বছরের বেশি সময় লাগবে বলে জানান পর্যটনমন্ত্রী। তবে এই ‘রাম সংগ্রহালয়’ গড়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সেবক সঙ্ঘের ইচ্ছা কিংবা দলগত কোনো চাপ নয়, রীতিমতো সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অযোধ্যায় বিতর্কিত স্থান ‘রাম জন্মভূমি’র ঠিক পাশেই গড়ে তোলা হবে এই সংগ্রহালয়। মূলত এই সংগ্রহালয়ে রাম ও রামায়ণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে, যা দেশ-বিদেশের পর্যটকরা দেখতে পাবেন।
অযোধ্যার এই স্থানেই ছিল বাবরি মসজিদ। ১৯৯২ সালে একদল উগ্রবাদী মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলে। এর ফলে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ব্যাপক হানাহানির ঘটনা।