‘৫ হাজার টন’ রাসায়নিক অস্ত্র আছে উত্তর কোরিয়ার!

Looks like you've blocked notifications!
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। ছবি : রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ার কাছে পাঁচ হাজার টন রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ আছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎ ভাই কিম জং ন্যামের হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থও (ভিএক্স) উত্তর কোরিয়ার কাছে বলে দাবি দক্ষিণের। 

স্থানীয় সময় শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে ওই দাবি তোলা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ২০১৪ সালের একটি নথিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া ১৯৮০ সালেই রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি শুরু করে। এখন তাদের মজুদে আড়াই থেকে পাঁচ  হাজার টন রাসায়নিক অস্ত্র আছে।

একই ধরনের একটি ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়। সেই নথিতে বলা হয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার আটটি জায়গায় রাসায়নিক অস্ত্রগুলো তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্দর চংজিন ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর সিনুইজু রয়েছে।     

দক্ষিণ কোরিয়ার এক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক জানান, উত্তরের কাছে বিপুল পরিমাণ ভিএক্স রয়েছে যা অনেক কম খরচে তৈরি করা যায়।  বিষাক্ত এই রাসায়নিকের এক ফোঁটাও একজন মানুষের স্নায়ু ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে যথেষ্ঠ সক্ষম।

ভিএক্স নামে বিষাক্ত অস্ত্রটি জাতিসংঘ গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ভাই কিম জং ন্যামকে এই পদার্থ ব্যবহার করে হত্যা করা হয় বলে মালয়েশিয়ার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে জং ন্যামকে হত্যা করা হয়। নিহত কিম জং ন্যাম উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত নেতা কিম জং ইলের বড় ছেলে ছিলেন।

পুলিশ জানায়, কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কিম জং ন্যামের মুখমণ্ডলে ভিএক্স মেখে দেওয়া হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই সময় তিনি কুয়ালালামপুর থেকে ম্যাকাও যাচ্ছিলেন।