‘ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প’

Looks like you've blocked notifications!
ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) প্রধান টম পেরেজ। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য প্রেসিডেন্ট বলে আখ্যায়িত করেছেন ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির (ডিএনসি) নতুন চেয়ারম্যান টম পেরেজ।

স্থানীয় সময় শনিবার ডিএনসিপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন পেরেজ। প্রতিদ্বন্দ্বী কিথ এলিসনকে ৩৫ ভোটে হারিয়ে প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

ভোটে জয়লাভের পর মঞ্চে উঠেই ট্রাম্পকে আক্রমণ করে বসেন পেরেজ। তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জঘন্য প্রেসিডেন্ট ছিল, তখন তোমরা কোথায় ছিলে—এ কথা তারা (জনগণ) আমাদের জিজ্ঞাস করবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার ডাকে সাড়া দিতে হবে, সবার কথা শুনতে হবে, আমাদের একেবারে শেকড়ে চলে যেতে হবে, আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

অবশ্য শুধু পেরেজ নন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘রাশিয়ার হস্তক্ষেপের’ অভিযোগ অস্বীকার করা, সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলা এবং সবশেষে সাংবাদিকদের নিয়ে কটূক্তি করার মতো বিষয়গুলো।

স্থানীয় সময় শনিবার ট্রাম্প জানান, আসছে ২৭ এপ্রিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধিদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন না তিনি। এর আগে গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।

সম্প্রতি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেছিলেন, সাংবাদিকরা দুর্নীতির ব্যবস্থার অংশ। সংবাদমাধ্যমগুলো সত্য প্রকাশ করতে চায় না। তারা তাদের নিজেদের বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

এর আগে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সেই সঙ্গে এর অসততার মাত্রাও এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে রক্ষণশীলদের একটি সম্মেলনে মেক্সিকো সীমান্তে খুব দ্রুতই দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প।  তাঁর নির্বাচনী  প্রতিশ্রুতিতেও একই কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। এতে দেশটিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে দেশটির একটি আদালত ট্রাম্পের ওই আদেশ খারিজ করে দেন।

গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে ডেমোক্র্যাট দলের হিলারি ক্লিনটনকে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে হারিয়ে দেন তিনি।

দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সদ্য বিদায়ী বারাক ওবামার বেশ কয়েকটি আদেশ বাতিল করে দেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার দিনই যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এদের বেশির ভাগই নারী। তাঁরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।