দিল্লিতে ময়লার পাহাড়, আম আদমি-বিজেপি ‘ঝাড়ুযুদ্ধ’

Looks like you've blocked notifications!
দিল্লির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেতন বকেয়া ফেলার জন্য এএপি ও বিজেপি একে অপরকে দায়ী করছে। ছবি : এনডিটিভি।

ভারতের দিল্লিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ১২ দিনের ধর্মঘটে শহরে ময়লার পাহাড় জমেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গতকাল  শুক্রবার ধর্মঘট শেষ করেছেন। আজ তাঁদের সঙ্গে ঝাড়ু ও বেলচা নিয়ে শহরের ময়লা পরিষ্কারে নেমেছেন ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) শীর্ষ নেতারাও।

ময়লা জমে থাকার কারণে দিল্লিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে দায়ী করছে এএপি। তবে বিজেপি বলছে, দায় দিল্লিতে ক্ষমতাসীন এএপির।

দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী ও এএপির জ্যেষ্ঠ নেতা মনীশ শিশোদিয়া বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সমর্থনে আমরা রাস্তায় নেমেছি। দিল্লির সরকারের কাছে অর্থ নেই, কিন্তু আমরা কর্মীদের বেতন দিতে অর্থ সংগ্রহ করেছি। বিজেপি যদি তাদের বেতন না দিতে পারে, তবে আমরা শুধু তাদের বেতনই দেব না, কাজেও সহায়তা করব।’

তবে দিল্লির বিজেপি নেতা সতীশ উপাধ্যেয় বলেন, তাঁরা সব কাউন্সিলরকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছেন। পাওনা বেতন দেওয়া কেন্দ্রের কাজ নয়, বরং এই দায়িত্ব দিল্লি সরকারের। এতদিন অন্য সব দলের অধীনে থাকা অবস্থায় এমন সমস্যা দেখা যায়নি। বর্তমান সমস্যার জন্য কেজরিওয়ালের এএপিই দায়ী।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই সপ্তাহে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ধর্মঘটে দিল্লির বিভিন্ন রাস্তায় ময়লার স্তূপ জমেছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পাওয়া বেতন বাকি হওয়ার জন্য বিজেপি ও এএপি একে অপরকে দোষারোপ করছে। পরে দিল্লির গভর্নর নাজিব জং ঘোষণা দেন, শুক্রবারের মধ্যে দিল্লির নগর করপোরেশনকে ৪৯৩ কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই অর্থ দিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গত দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। ওই ঘোষণার পর পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কাজে ফিরেছেন।

আম আদমি পার্টির দাবি, বিজেপির নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি নগর করপোরেশন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ। অদক্ষতার কারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিয়ে এমন সংকট তৈরি হয়। এএপি আজ দিল্লির ২৭২টি ওয়ার্ডে শোভাযাত্রা করেছে।

একই সঙ্গে এএপি অভিযোগ করেছে, রাজধানীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনো মনোযোগ নেই। এএপি নেতা সঞ্জয় সিং অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে মঙ্গোলিয়ায় ঋণ দেওয়ার অর্থ আছে অথচ মঙ্গলপুরির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেতন দেওয়ার অর্থ নেই।