টাইটানিক ঘুরে দেখতে খরচ কত?

Looks like you've blocked notifications!

হয়তো টাইটানিকে ঘুরে দেখার এটাই শেষ সুযোগ। কারণ  ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত এই জাহাজটি। টাইটানিকের ভগ্নাবশেষ ধীরে ধীরে যাচ্ছে ব্যাকটেরিয়ার পেটে।  তাই  শেষবারের মতো টাইটানিকের ভগ্নাবশেষ ঘুরে দেখতে শরণাপন্ন হতে হবে ব্লু মারবেল প্রাইভেট নামের একটি কোম্পানির।  

ওই কোম্পানির মাধ্যমে টাইটানিকে ঘুরতে খরচ হবে মাত্র ৮৪ লাখ টাকা (১ লাখ ৫ হাজার ১২৯ মার্কিন ডলার)।  তারা সুযোগ করে দেবে জাহাজটি সামনাসামনি ঘুরে দেখার। ২০১৮ সালের মে থেকেই  শুরু হচ্ছে তাদের টাইটানিক দর্শনযাত্রা।

টাকার মানের দিক থেকে ধরলে ১৯১২ সালে টাইটানিকের প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের ভাড়া ছিল একই পরিমাণ অর্থ। সে সময় জাহাজটির প্রথম শ্রেণির ভাড়া ছিল  তিন লাখ ৪৯ হাজার টাকা (চার হাজার ৩৫০ মার্কিন ডলার)। তবে ২০১২ সালে একটি প্রতিষ্ঠান কিন্তু ৪৭ লাখ টাকায় (৫৯ হাজার ডলার) টাইটানিকের ভগ্নাবশেষ ঘুরে দেখার সুযোগ দিয়েছিল।

টাকা খরচ করলেই ব্লু মারবেল বিলাসবহুলভাবে টাইটানিক দর্শনের ব্যবস্থা করবে। তাদের আট দিনের যাত্রা শুরু হবে কানাডা থেকে। এর পর নিয়ে যাওয়া হবে আটলান্টিক মহাসাগরের দুই মাইল গভীরে। তবে দুঃখের বিষয় হলো ব্লু মারবেলের প্রথম যাত্রার সব টিকেট ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে।

১৯১২ সালে প্রথম যাত্রাতেই ডুবে যায় টাইটানিক। জাহাজটি ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন শহর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছিল। এর পর গেছে দীর্ঘ সময়। প্রায় ৪২ বছর আগে রবার্ট বালার্ড  ও তাঁর দল সাগরের তলদেশে টাইটানিকের ভগ্নাবশেষ খুঁজে পান।