লন্ডনে হামলার পর নায়ক ব্রিটিশ এমপি

Looks like you've blocked notifications!
লন্ডনে পার্লামেন্ট হামলার পর সাহায্যের জন্য ছুটে যান ব্রিটিশ এমপি টোবিয়াস এলউড (কালো কোট পরা)। ছবি : এপি

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবন এলাকা। বুধবার দুপুরে হঠাৎ এক ব্যক্তি ওয়েস্টমিনস্টার সেতু দিয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে ভবনের দিকে এগিয়ে আসে। চাপা দিয়ে হত্যা করে পথচারীদের। এর পর গাড়ি থেকে নেমে হত্যা করে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে।

চোখের নিমেষে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ঘাবড়ে দেয় সবাইকে। সাহায্যের জন্য ছোটাছুটি শুরু করেন সবাই। এত কিছুর পর বুক কাঁপেনি ব্রিটিশ সংসদ সদস্য (এমপি) টোবিয়াস এলউডের। সহকর্মীরা যখন অজানা আশঙ্কায় পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছেন, তখন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে বাইরে বের হয়ে এলেন টোবিয়াস। তখনো এসে পৌঁছায়নি কোনো সাহায্য।

পার্লামেন্টের বাইরে বের হয়ে টোবিয়াস দেখতে পেলেন, সামনেই পড়ে আছে এক পুলিশ কর্মকর্তার নিথর দেহ। শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে ঝরছে রক্ত। সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যে নেমে পড়লেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, পুলিশ কর্মকর্তাকে সাহায্যে নিজের সামরিক প্রশিক্ষণকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন টোবিয়াস। অ্যাম্বুলেন্স না আসা পর্যন্ত তিনি সবটুকু দিয়ে আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। 

হামলার পর তোলা কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, টোবিয়াসের হাত ও মুখে রক্ত লেগে আছে। এর পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সন্ত্রাসী হামলা এর আগেও নাড়া দিয়েছে টোবিয়াসকে। ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে নৈশক্লাবে হামলায় নিহত হন তাঁর ছোট ভাই। তিন দিন পর ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পান টোবিয়াস।  খবর পেয়েই বোনকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়া যান তিনি।

এদিকে পার্লামেন্ট ভবনে হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য পুলিশ। তাঁর নাম খালিদ মাসুদ (৫২)। তিনি দক্ষিণ-পূর্ব ব্রিটেনের কেন্ট অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। পুলিশের গুলিতে হামলার দিনই নিহত হন তিনি।

গত বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের কাছে সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচজন নিহত হন। এতে আহত হন কমপক্ষে ৪০ জন।