স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে জাতিসংঘে যাবে মেঘালয়ের আদিবাসীরা
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তি সইকে আদিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছেন ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আদিবাসীরা। একই সঙ্গে এই চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এ নিয়ে তাঁরা জাতিসংঘের দারস্থ হবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।
গত সোমবার গ্র্যান্ড কাউন্সিল অব চিফস অব মেঘালয়ের সভাপতি জন এফ খারশিং বলেন, ‘এই চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করব। যদি এতে কোনো সুফল না পাওয়া যায়, তাহলে আদিবাসীরা জাতিসংঘের কাছে হস্তক্ষেপ দাবি করবে। একই সঙ্গে নতুন করে সীমান্ত জরিপের তত্ত্বাবধানের জন্য আবেদন করা হবে।’
ভারতের বার্তা সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মেঘালয়ে বসবাসকারী ভূমি মালিক ও আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রধানরা গত শনিবার ডাউকি গ্রামে সমবেত হয়েছিলেন। তারা তখন এই সীমান্ত চুক্তির অনুমোদনের বিরোধিতা করেন।
খারশিং বলেন, এখানকার ভূমিমালিক ও আদাবাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রধানদের উপেক্ষা করে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে এই চুক্তিটি সই করা হয়েছে, যার মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তিনি বলেন, দিল্লিতে ১৯৪৭ সালের জুন ও জুলাই মাত্র এই দুই মাসে ভারত ও পাকিস্তানকে আলাদা করার জন্য ‘ত্রুটিপূর্ণ’ রেডক্লিফ লাইন টানা হয়েছে।
পিরদিওয়ার কাছে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত পিয়ান নদীর মধ্যভাগে ধরা হয় এবং এই নদীর ভারতের দিকে সীমান্ত পিলারগুলো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু উমগত ও পিয়ান নদীর স্রোতের তোড়ে এই পিলারগুলো ভেসে গেছে।
আদিবাসী নেতা আরো বলেন, এই স্থলসীমান্ত চুক্তির কারণে উমক্রেমে রিঙ্কসাই গোষ্ঠীর পবিত্র বন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এখানকার মূল্যবান জীববৈচিত্র্য বাংলাদেশে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।