বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পাকিস্তান, এগিয়ে ভারত
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফান্ড ফর পিসের (এফএফপি) ভঙ্গুর রাষ্ট্রের তালিকায় ৩২তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। দেশটির সাপ্তাহিক সাময়িকী ফরেন পলিসির অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
১৭৮টি দেশের ওপর প্রকাশিত ফ্র্যাজাইল স্টেট ইনডেক্স (ভঙ্গুর রাষ্ট্র সূচক) স্থানীয় সময় বুধবার প্রকাশিত হয়। এ থেকে জানা যায়, বাজে অবস্থানে থাকা প্রথম ১০টি দেশের সাতটিই আফ্রিকার। দেশগুলো হলো—দক্ষিণ সুদান (প্রথম), সোমালিয়া (দ্বিতীয়), সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (তৃতীয়), সুদান (চতুর্থ), ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো (পঞ্চম), চাদ (ষষ্ঠ) ও গিনি (দশম)।
এ তালিকায় অষ্টম স্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান। এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনের অবস্থান সপ্তম। আর সিরিয়ার অবস্থান নবম।
এশিয়ার অন্য দেশগুলোর অবস্থান
ফরেন পলিসির সূচক অনুযায়ী ভঙ্গুর দেশের তালিকায় বাজে অবস্থানে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক। দেশটি দ্বাদশ অবস্থানে আছে। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের অবস্থান ত্রয়োদশ। ২৭তম অবস্থানে আছে মিয়ানমার। উত্তর কোরিয়া ২৯তম, শ্রীলঙ্কা ৩৪, নেপাল ৩৫, লেবানন ৪০, ইরান ৪৪ ও ফিলিপাইনের অবস্থান ৪৮তম। দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাবশালী দেশ ভারতের অবস্থান ৬৯তম। আর চীনের অবস্থান ৮৩তম। ইন্দোনেশিয়া ৮৮তম ও সৌদি আরবের অবস্থান ১০১তম।
উত্তর আমেরিকা
ভঙ্গুর রাষ্ট্রের এ তালিকায় উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৫৮তম। ক্যারিবীয় দেশ হাইতির অবস্থান ১১তম, এল সালভাদর ১০২তম, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ১০৪তম ও কানাডার অবস্থান ১৬৮তম।
দক্ষিণ আমেরিকা
ফরেন পলিসির তালিকায় ভালো অবস্থানে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো। বাজে অবস্থানে থাকা ৫০ দেশের মধ্যে এ মহাদেশের কোনো দেশের স্থান নেই। ৬৪তম অবস্থানে আছে গুয়াতেমালা। নিকারাগুয়া ৭২, বলিভিয়া ৭৬, ইকুয়েডর ৮৫, পেরু ৯৮, কিউবা ১১২তম, ব্রাজিল ১২৩তম ও চিলি ১৫০তম অবস্থানে আছে।
ইউরোপ
তালিকায় ইউরোপের দেশগুলোর অবস্থান বরাবরের মতো এবারও ভালো। এতে ইউরোপের প্রভাবশালী দেশ রাশিয়ার অবস্থান ৬৫তম, জর্জিয়া ৭০, ইউক্রেন ৮৪, সার্বিয়া ৯২, সাইপ্রাস ১১৪, গ্রিস ১৩৪, হাঙ্গেরি ১৩৯, ইতালি ১৪৭, স্পেন ১৫১, ফ্রান্স ১৬০, যুক্তরাজ্য ১৬১তম ও জার্মানি ১৬৫তম অবস্থানে আছে।
আফ্রিকা
সূচকে বাজে অবস্থানে থাকা প্রথম ১০টির সাতটিই আফ্রিকার। এ ছাড়া এ মহাদেশের অন্য দেশগুলোর অবস্থানও ভালো নয়। এ মহাদেশের রাষ্ট্র নাইজেরিয়া ১৪, আইভরি কোস্ট ১৫, জিম্বাবুয়ে ১৬ ও ইথিওপিয়া ২০তম অবস্থানে আছে।
ওশেনিয়া
তালিকায় ওশেনিয়া মহাদেশের দেশগুলোর অবস্থান ভালো। এ মহাদেশের সলোমন দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান ৫০তম, পাপুয়া নিউগিনি ৫৭তম ও ফিজি ৮২তম অব্স্থানে আছে। এ মহাদেশের প্রভাবশালী দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অবস্থান ১৭০ ও ১৭২তম।
ভালো অবস্থানে থাকা ১০ দেশ
ফরেন পলিসির এ তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো। তালিকায় ১৭৮তম অবস্থানে আছে ফিনল্যান্ড। এ ছাড়া সুইডেন ১৭৭, নরওয়ে ১৭৬, ডেনমার্ক ১৭৫, লুক্সেমবার্গ ১৭৪, সুইজারল্যান্ড ১৭৩, নিউজিল্যান্ড ১৭২, আইসল্যান্ড ১৭১, অস্ট্রেলিয়া ১৭০ ও আয়ারল্যান্ড ১৬৯তম অবস্থানে আছে।