বিমানে এমন বিমানবালা!

Looks like you've blocked notifications!

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ। এবার ফ্লাইট ধরবেন। উড়োজাহাজের সিঁড়ি বেয়ে উঠছেন। দরজায় আপনাকে স্বাগত জানালেন বিমানবালা। ধাক্কা খাবেন বটেই! কিন্তু এটাই এই এয়ারলাইনসের বিধি। বিমানবালাদের গায়ে থাকে কেবল বিকিনি!

ওই বিকিনি পরা বিমানবালাদের দেশ ভিয়েতনাম। দেশটির অন্যতম একটি এয়ারলাইন ‘ভিয়েত জেট এয়ার।’ দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ওই এয়ারলাইনসের বিমানবালাদের পোশাকই এমন। 

‘ভিয়েত জেট এয়ার’-এর স্বত্বাধিকারী নুয়েন থি ফুং থাও একজন নারী। তিনি জানিয়েছেন, বিমানবালাদের এমন পোশাকে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। বরং যাত্রীরা খুশি হলেই তিনি খুশি। 

যাত্রীরা খুশি কি না সেটা ভিয়েত জেট এয়ারের অবস্থানেই বোঝা যাবে। প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরের মধ্যে ভিয়েত জেট এয়ার দেশটিতে এয়ারলাইনস ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করছে। ভিয়েতনামের ৪০ শতাংশ ফ্লাইটই ভিয়েত জেট এয়ারের আওতায়। 

থাও তাঁর দেশের দুজন বিলিয়নিয়ারের মধ্যে একজন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম নারী বিলিয়নিয়ার তিনি। বিকিনি পরা ভিয়েত জেট এয়ারের সফলতাই থাওকে বিলিয়নিয়ারে পরিণত করেছে। বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন জানিয়েছে, বর্তমানে থাও বিশ্বের ৪৬তম বিলিয়নিয়ার।

থাও ২০০৭ সালে ভিয়েত জেট এয়ারের লাইসেন্স পান। তবে তেলের দাম বেশি থাকায় ওই বছরই যাত্রা শুরু করেননি। ২০১০ সালে এয়ার এশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ফ্লাইটগুলো সময় মেনে না চলায় তিনি এয়ার এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। একা চলার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরের বছরই যাত্রা শুরু করে ভিয়েত জেট এয়ার। 

ফোর্বসকে থাও বলেন, ‘আমি বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করি এবং বড় কিছু করি। ভিয়েত জেট এয়ার আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন, স্থানীয় নয়।’ 

বিকিনি পরা বিমানবালা অন্য এয়ারলাইন থেকে ভিয়েত জেটকে আলাদা করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ ব্যাপারে থাও বলেন, ‘আপনি যা পরতে চান তা পরার অধিকার আপনার আছে। এটা বিকিনি হতে পারে, ঐতিহ্যবাহী পোশাক হতে পারে।’