‘মাংসখেকো পোকা’ খেল দুই পা!
ফিলিপাইনের টেরি পারেজা অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে। কিছুদিন পর সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ক্ষতবিক্ষত দুই পায়ে দগদগে ঘা নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, মাংসখেকো পোকার আক্রমণেই টেরির এই দশা!
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এটি একটি বিশেষ ধরনের রোগ। রোগের নাম ‘নেক্রোটিসিং ফ্যাসাইটিস’। আর এই রোগ থেকে পেরেজাকে বাঁচাতে তাঁর দুই পা অস্ত্রোপচার করে কেটে ফেলা হয়েছে। এবার ১২ থেকে ১৮ মাস তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে।
পারেজার পরিবারের সদস্যরা জানান, অস্ট্রেলিয়ায় একটি মাকড়সার কামড় থেকে তাঁর ওই রোগটি শুরু হয়। টেরির মেয়ে জেফমারে পারেজা বলেন, ‘মাকড়সা আর মাংসখেকো পোকা তাঁকে জীবন্ত খেয়ে ফেলছে। তাঁর দুটি পা কেটে ফেলা হয়েছে।’
টেরির চিকিৎসার জন্য সাত হাজার ৫০০ ডলার সংগ্রহ করেছেন তাঁর মেয়ে। তিনি বলেন, ‘বাবা এখানে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। এখন তা দুঃখে পরিণত হলো।’
কিন্তু টেরির মেয়ের ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মার্ক ওয়াকার নামে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই রোগ সচরাচর দেখা যায় না। তবে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আর মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
চিকিৎসক ওয়াকার জানান, ‘নেক্রোটিসিং ফ্যাসাইটিস’ রোগটি ‘স্ট্রেপটোককাস’ নামে একধরনের ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে হয়। এই ব্যাকটেরিয়া অনেকের নাক, গলা ও চামড়ায় পাওয়া যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এরা কোনো ক্ষতি করে না। তবে মাঝেমধ্যে কোনো কারণে এরা প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
ওয়াকার আরো জানান, চামড়ার ফাটল বা দেহের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু দিয়ে এই বিশেষ ব্যাকটেরিয়া হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস বা মাংসপেশিতে ঢুকলে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। এরপর এই ব্যাকটেরিয়া মাংসে আক্রমণ করে। আর এর ফলে পক্ষাঘাতও হতে পারে।