আগরতলা-আখাউড়া রেলরুটে অর্থায়নে ভারতের অনুমোদন
আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে আগরতলা-আখাউড়া রুটে রেল চলাচল করবে। আর এ জন্য এই প্রকল্পে অর্থায়নের অনুমোদন দিয়েছে ভারতের রেল মন্ত্রণালয়।
ভারতের পরিবহন সচিব সমরজিৎ ভৌমিক বলেন, নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন (ডোনার) মন্ত্রণালয় এ প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন করবে। নয়াদিল্লিতে গত বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন ফর ট্রান্সফরমিং ইন্ডিয়া (এনআইটিআই) আয়োগের এক বৈঠকে এই নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের মধ্যে রেল চলাচল শুরুর লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে।
মেঘালয়ভিত্তিক দ্য শিলং টাইমস জানিয়েছে, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে ৫৭৫ কোটি রুপির আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ প্রকল্প চূড়ান্ত হয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ১১ সদস্যবিশিষ্ট আন্তমন্ত্রণালয় স্টিয়ারিং কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আগরতলা ও আখাউড়া রেলস্টেশনের মধ্যে সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা সই হয়। কিন্তু এই প্রকল্পের তহবিল বরাদ্দ না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
সমরজিৎ ভৌমিক বলেন, এনআইটিআই আয়োগ ত্রিপুরাকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বিধানসহ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ১০ কিলোমিটার রেলপথ প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন করবে। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ভারতের আগরতলা থেকে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর পর্যন্ত হবে এই নতুন রেলপথ।
আন্তঃএশীয় রেলপথ (টিএআর) নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হবে এই রেল যোগাযোগ। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই এই নেটওয়ার্কের সদস্য। টিএআরের অংশ হিসেবে ভারত এরই মধ্যে জিরিবাম থেকে মিয়ানমারের মোরেহ পর্যন্ত ৩৫০ মিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এই রেলপথ ব্যবহারের মধ্যমে বাংলাদেশও কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবে বলে জানান সমরজিৎ।