ইয়েমেনে মার্কিন ও ব্রিটিশ দূতাবাস বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। ছবি: রয়টার্স

নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে ইয়েমেনে অনির্দিষ্টকালের জন্য মার্কিন ও ব্রিটিশ দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদূত, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফ্রান্স ও আগামী শুক্রবার দূতাবাস বন্ধ করার কথা জানিয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন দূতাবাসের কাজ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দূতাবাসের সব নিয়মিত ও জরুরি সেবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং দূতাবাসকর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।’ পাশাপাশি নাগরিকদের ইয়েমেনে ভ্রমণ না করার এবং বর্তমানে অবস্থানকারীদের জরুরিভিত্তিতে ইয়েমেন ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

দূতাবাস বন্ধ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন সাকি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, দূতাবাস বন্ধের পর ইয়েমেনে তাদের স্বার্থের দিকে তুরস্ক ও আলজেরিয়া খেয়াল রাখবে। 

ব্রিটিশ সরকারের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ব্রিটেনের দূতাবাস বন্ধ করে সব কূটনৈতিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ব্রিটিশ মন্ত্রী টুবিয়াস এলউড বলেন, কয়েকদিন ধরে ইয়েমেনের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকি বাড়ছিল।সব নাগরিককে এখনই ইয়েমেন ত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে।

মার্কিন দূতাবাস বন্ধের পর পরই দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। আর জার্মানির দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই মাসের সবেতন ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মিশন বন্ধের এখনই কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

হাউতি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি রাজধানী সানা দখল করে নেওয়ার পর ইয়েমেনে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দেশটিতে চলমান সংকট সমাধানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করছে।

গত সেপ্টেম্বরে বিদ্রোহী শিয়া মুসলিম গোষ্ঠীহাউতির যোদ্ধারা রাজধানী দখল করে নেয়। গত মাসে তারা প্রাসাদ দখল করে প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদি ও তাঁর সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে।এক রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানে ২০১২ সালের শুরুতে  আলী আব্দুল্লাহ সালেহ প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ইয়েমেনেআর স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আল-কায়েদা বিদ্রোহীদের যুদ্ধ এবং দক্ষিণাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন।

বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারী দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ইয়েমেনের পরিস্থিতি সৌদি আরবের জন্যও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।