সৌদিতে আজান ও নামাজের মধ্যবর্তী সময় কমানোর প্রস্তাব

Looks like you've blocked notifications!
আজান ও নামাজের মধ্যবর্তী সময় কমানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সৌদির শূরা কাউন্সিল। ছবি : এসপিএ

আজান ও ইকামার মধ্যবর্তী সময় কমিয়ে পাঁচ মিনিট করতে ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়ে করা একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সৌদি বাদশার উপদেষ্টা পর্ষদ তথা শূরা কাউন্সিল।

প্রস্তাবে বিপণিবিতানের ভেতর ও সংলগ্ন এলাকার মসজিদগুলোর ক্ষেত্রে এই বিধান কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসলামী রীতি অনুযায়ী, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শুরু হওয়ার  আগে আজান বা আহ্বান জানানো হয়। এরপর নামাজ শুরুর ঠিক মুহূর্তে আরেকবার আজানের ধ্বনিগুলো উচ্চারণ করেন ইমামের পেছনে থাকা মুয়াজ্জিন বা অন্য কোনো মুসল্লি। সাধারণত মাগরিব বাদে অন্য নামাজগুলোর ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় আহ্বানের (ইকামা) ব্যবধান ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা হয়।

সৌদির সংবাদপত্র আল-মদিনার খবরে বলা হয়, দেশটির বিপণিবিতান ও সংলগ্ন এলাকার মসজিদগুলোতে এই সময় কমানোর প্রস্তাব করেন শূরা কাউন্সিলের সদস্য আতা আল-সুবাইতি। তাঁর মতে, এই প্রস্তাবটির আলোচনায় বেশ কিছু বিষয়কে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

সুবাইতির মতে, প্রথমত, ইসলামে দুই আজানের মধ্যবর্তী কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। প্রয়াত ইসলামী চিন্তাবিদ মোহাম্মদ ইবনে উছায়মিনের একটি ফতোয়া অনুযায়ী, প্রতিটি দেশ নিজেদের লোকজনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে মধ্যবর্তী সময় নির্ধারণ করে।

সময় কমানোর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে সুবাইতি বলেছেন, দুই আজানের মধ্যবর্তী সময় কম হলে বিপণিবিতান ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে জামাতে নামাজ পড়া লোকের সংখ্যা বাড়বে।

আল-সুবাইতি বলেন, মাঝেমাঝে আজান দেওয়ার পর উল্লেখযোগ্য সময় ধরে দোকান বন্ধ করে রাখেন বিক্রেতারা। এতে করে পণ্য কেনায় ক্রেতাদের আগ্রহে ভাটা পড়তে পারে। সৌদির মতো অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রথম স্তরে থাকা একটি দেশের জন্য বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া দরকার।