গ্রিসে ব্যাংক বন্ধ, এটিএমে কড়াকড়ি

Looks like you've blocked notifications!
গ্রিসে ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ উত্তোলনে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এথেন্সে একটি এটিএম বুথের পাশে ভিড় করেছেন গ্রাহকরা। ছবি : এএফপি

ইউরো অঞ্চলের নেতারা গ্রিসের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সহায়তা (বেলআউট) সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ব্যাংক বন্ধ এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে গ্রিসের সরকার। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দৈনিক নগদ ৬০ ইউরো বা পাঁচ হাজার ১০০ টাকার বেশি এটিএম বুথ থেকে তোলা যাবে না। আর অর্থ পরিশোধ ও বিদেশে স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৬ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে বলা হয়েছে।

গত শনিবার এক টেলিভিশন চ্যানেলে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস বলেন, ইউরো অঞ্চলের সংগঠন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অসহযোগিতায় সোমবার থেকে দেশটির ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ হতে যাচ্ছে।

এদিকে, বেলআউটের সময়সীমা না বাড়ালেও গ্রিসের ব্যাংকিং খাতে জরুরি তহবিল সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে বলে রোববার জানায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি)।

গতকাল রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিশনার পিয়েরে মস্কোভস্কি এক টুইটার বার্তায় জানান, সমঝোতায় আসতে গ্রিসের জন্য এখনো দরজা খোলা। গ্রিসের উচিত ইউরোতে থাকা। ইউরোপীয় কমিশনের সর্বশেষ প্রস্তাবে সমঝোতায় আসার কথা বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এর আগে বেলআউট নিয়ে ঋণদাতাদের চূড়ান্ত প্রস্তাবের ওপর গণভোটের আহ্বান জানান গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী। এই গণভোটের জন্য বেলআউটের সময়সীমা আরো এক সপ্তাহ পেছানোর আবেদন করেন তিনি। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন ইউরো অঞ্চলের নেতারা। ইউরো অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নেদারল্যান্ডসের অর্থমন্ত্রী ইয়েরোয়েন ডিজেলব্লয়েম। তিনি বলেন, গ্রিসের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরোর একটি তহবিল ছাড়ের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু ঋণদাতাদের প্রস্তাব অস্বীকার করে সিপ্রাস গণভোটের ঘোষণা দেওয়ায় সে তহবিলের আলোচনাও থমকে পড়ে।

এদিকে, সমঝোতা না হলে আগামীকাল মঙ্গলবার গ্রিসের বিদ্যমান বেলআউট কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হবে। এতে বিশ্ব মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো ঋণ পরিশোধে গ্রিসের হাতে আর কোনো অর্থ থাকবে না।

কিস্তি পরিশোধ করা না হলে নীতি অনুযায়ী গ্রিসের জন্য আর কোনো ঋণ দেবে না সংস্থাটি। সে ক্ষেত্রে সরকারি কর্মীদের বেতন ও মজুরি ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ থাকবে না দেশটির হাতে।