পশ্চিমবঙ্গে ২৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে ২৭ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার পুলিশ একটি বাস থেকে প্রথমে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। এর পর একই জেলার বসিরহাট মহকুমার ঘোজাডাঙা সীমান্ত এলাকা থেকে আরো ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা প্রত্যেকেই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন। এঁদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ, সাতজন নারী ও ছয়জন শিশু। এঁদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাবড়া থানার পুলিশ বনগাঁ-দক্ষিণেশ্বরগামী ডিএন-৪৪ রুটের একটি বাসকে থামায়। বাসে তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৭ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে আটজন পুরুষ, পাঁচজন নারী ও চারজন শিশু।
এ সময় পাচারকারীদের মূল হোতা নাজমুল ফকিরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাংলাদেশের নড়াইল জেলার গাজীরহাট এলাকার বাসিন্দা। নাজমুলের কাছ থেকে ১৪ হাজার ভারতীয় রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
নাজমুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দাবি করেন, ১৭ বাংলাদেশির প্রত্যেকের কাছ থেকে নাজমুল পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়েছিল ভারতে নিয়ে আসার জন্য। এ দিন তিনি মোট ৪০ জনকে শ্রমিকের কাজ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মুম্বাই নিয়ে যাচ্ছিলেন। চোরাপথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তাঁরা ভারতে প্রবেশ করেন।
‘পুলিশি জেরায় নাজমুল স্বীকার করেছেন, এর আগেও তিনি একাধিকবার এ ধরনের মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নাজমুলকে জেরা করে এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’ বলেন পুলিশ কর্মকর্তা ভাস্কর মুখোপাধ্যায়।
এদিকে সকাল ৭টায় বসিরহাট মহকুমার ঘোজাডাঙা সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ১০ জন বাংলাদেশির মধ্যে ছয়জন পুরুষ, দুজন নারী ও দুজন শিশু। তাঁদের কাছেও কোনো বৈধ কাগজপত্র পায়নি বিএসএফের ১৪৪ ব্যাটালিয়ন জওয়ানরা।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, মূলত কাজের খোঁজে ওই বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। পরে বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তাঁদের তুলে দেয় বিএসএফ। এদিন দুপুরে ১০ বাংলাদেশিকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল-হাজতের নির্দেশ দেন।