পশ্চিমবঙ্গে ৫০০ ভুয়া চিকিৎসক, খতিয়ে দেখছেন মমতা

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে ৫০০ ভুয়া চিকিৎসক রয়েছেন, যাঁরা দেশটির বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি এই ভুয়া চিকিৎসকরাই রোগীর অস্ত্রোপচার করছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্নে এমন একটি প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এ প্রতিবেদনের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন বৈঠকে চিকিৎসকদের নিয়ে কথা বলেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হুগলি জেলায় এক প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ভুয়া চিকিৎসক সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন তথ্য পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আজ শুক্রবার সকালেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে পাঠিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওই জেলার তমলুক, হলদিয়াসহ বিভিন্ন মহকুমা হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। সেখানে তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। 

সিআইডির প্রধান কার্যালয় ভবানী ভবনের বরাত দিয়ে ভারতের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে পাঁচজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে সিআইডি। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পাঁচ চিকিৎসকের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ১২ ভুয়া চিকিৎকের নাম দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি কলকাতার অন্যতম পরিচিত বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউ থেকে নরেন পাণ্ডে নামে একজন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর চারিদিকে হইচই পড়ে যায়। এ ছাড়া কলকাতাসংলগ্ন উত্তর-২৪ পরগনা জেলার বারাসাত থেকে রমেশ বৈদ্য নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। ওই ব্যক্তি ৩০ বছর ধরে জাল নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র বিক্রি করে আসছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

সিআইডির অনুমান, পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ভুয়া সনদপত্রধারী চিকিৎসক ও ভুয়া সনদপত্র দেওয়ার প্রতিষ্ঠান রয়েছে।