জঙ্গিভয়ে পালাচ্ছে মুসলমানরা, আশ্রয় দিচ্ছে গির্জা

Looks like you've blocked notifications!
অ্যান্টি-বালাকার হামলায় চলতি বছরের মে মাসেই ৮৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ছবি : আলজাজিরা

মধ্য আফ্রিকার দুর্ধর্ষ জঙ্গিগোষ্ঠী ‘অ্যান্টি-বালাকা’র আতঙ্কে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে ওই অঞ্চলের দেশ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের মুসলমানরা। আর এই গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে এগিয়ে এসেছে ওই অঞ্চলের গির্জাগুলো।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৫০০-এর বেশি মুসলমান দেশটির দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের বাঙ্গুই প্রদেশের একটি ক্যাথলিক গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন। এবং আশ্রয়প্রার্থী মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ওই গির্জার একজন যাজক।

চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ‘অ্যান্টি-বালাকা’র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের পর বাঙ্গাসৌ শহরের ওই গির্জায় আশ্রয় নিয়েছেন অনেক গৃহহীন মুসলমান।

গির্জার যাজক আলাইন ব্লাইস বিসিয়ালো বলেন, ‘পরিস্থিতি নিরাপদ নয়। শহরে এখনো অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এ কারণে তাঁরা (মুসলমানরা) এই জায়গা ছেড়ে নড়তেও পারছেন না।’

চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাঙ্গাসৌ শহরের মুসলিম অধ্যুষিত টোকোয়ো এলাকায় সিরিজ হামলা চালায় ‘অ্যান্টি-বালাকা’ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। 

বিবিসি জানায়, ‘অ্যান্টি-বালাকা’ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও কঙ্গোতে প্রভাব বিস্তারকারী একটি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। এই সংগঠনটির অধিকাংশ সদস্য খ্রিস্টান। মধ্য আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তারকারী এই সংগঠনটির পেছনে খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আছে বলেও মনে করা হয়।

এ ছাড়া উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ওই অঞ্চলের দরিদ্র মুসলমান জনগোষ্ঠীর ও অত্যাচার-নিপীড়ন, এমনকি মুসলমানদের জোর করে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার পেছনে ‘অ্যান্টি-বালাকা’  সংগঠনটি দায়ী বলে মনে করা হয়।