মমিটি মানুষের নয়, ভিনগ্রহের প্রাণীর!

Looks like you've blocked notifications!
পেরুর নাজকা শহর থেকে উদ্ধার করা মমিটি ভিনগ্রহের প্রাণীর বলে দাবি করছেন একদল স্বঘোষিত গবেষক। ছবি : ইউটিউব

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর নাজকা শহর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রাচীন একটি মমি। মমিটির গড়ন দেখে মানব  শরীরের কাঠামো মনে হলেও সাধারণ চোখেই ধরা পড়বে মূল গলদটি। কারণ মানুষের মতো ওই মমির হাত-পায়ে পাঁচটি আঙুল নেই। আছে তিনটি করে। তাও আবার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক লম্বা।

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তিন আঙুল বিশিষ্ট মানুষের মতো দেখতে ওই প্রাণীটি আসলে কী? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কয়েকজন স্বঘোষিত গবেষক। অতিপ্রাকৃত বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন তাঁরা।

ওই গবেষকরা দাবি করেন, পেরুতে পাওয়া ওই মমিটি আসলে অ্যালিয়েনের (ভিনগ্রহের প্রাণী)। এর পক্ষে নাকি যথেষ্ট প্রমাণও তাঁদের হাতে আছে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ তাঁদের ওই দাবি একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা জানান, ওই বস্তুটি আসলে মমিই নয়, বরং প্লাস্টার দিয়ে তৈরি করা একটি মডেল।

মমিটি উদ্ধারকারী ওই গবেষকরা জানান, মমিটির পুরো দেহ সাদা রঙের গুঁড়া দিয়ে ঢাকা ছিল। এর শরীর পচনে হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই ওই গুঁড়ার ব্যবহার বলে ধারণা তাঁদের।

এদিকে, মমিটি কত পুরোনো ‘কার্বন টেস্ট’-এর মাধ্যমে তাও বের করা হয়েছে। গবেষকরা জানান, ২৪৫ থেকে ৪১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যের করা হয় মমিটি। তবে ওই পরীক্ষার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।  

নাম কেনার জন্যই মমিটি নিয়ে মিথ্যা রটানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভিনগ্রহের প্রাণী বিশেষজ্ঞ নাইজেল ওয়াটসন। তিনি বলেন, মমিটি দেখে মনে হয় মানুষের শরীরে কাঠামোর সঙ্গে তিনটি আঙুল যুক্ত করা হয়েছে। তারপর সেটির ওপর প্লাস্টার করা হয়েছে। খ্যাতি ও লোভের কারণেই এ গুজব ছড়ানো হচ্ছে।