ভারতের সংখ্যলঘু মুসলমানদের জন্মনিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনা। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পাটির (বিজেপি) অন্যতম শরিক দলটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এটি বাস্তবায়নে সুপারিশের পরিকল্পনা নিয়েছে। 

আজ সোমবার শিবসেনার দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’-র সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ভারতে মুসলমান সম্প্রদায়ের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। মুসলমান জনসংখ্যা বাড়লে ভারতের জাতীয় ঐক্য বিঘ্নিত হতে পারে।

‘সামনা’য়  আরো বলা হয়, ভারতের শুধু আসাম ও উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোতেই নয়, হরিয়ানা ও দিল্লির মতো রাজ্যেও বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা। ভারতে সংখ্যলঘুদের জনসংখ্যার মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি চিন্তার কারণ। 

শিবসেনা মনে করে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি করে হিন্দু রাষ্ট্র দখল করতে চাইছে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। এ কারণে দলটিকে এই বিষয়ে বরাবরই সরব হতে দেখা গেছে। এবারে জন্মনিয়ন্ত্রণ ইস্যু নিয়ে মুসলমান সম্প্রদায়কে পরিবার পরিকল্পনার শেকলে বেঁধে ফেলতে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে তারা। 

‘সামনা’য় দাবি করা হয়, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় নিজেদের যদি ভারতীয় বলে মনে করে তাহলে ‘পরিবার নিয়ন্ত্রণ’ আইন মেনে চলুক। মূলত কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলটি বারবার ভারতের মাটিতে ধর্ম, জাতপাতের বিভেদ নিয়ে রাজনীতি করে আসছে। 

শিবসেনার দাবি,  ভারতীয় মুসলমানদের জন্মহার নিয়ন্ত্রণের এটিই সঠিক সময়।  দেরি হলে আগামী দিনে মুসলমান সম্প্রদায়ের সংখ্যগরিষ্ঠতা ভারতের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে  জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুর চড়ানোর নেপথ্যে সত্যিকারের সুসংসহত ভারত গড়ার সদিচ্ছা নাকি রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির  কোনো চেষ্টা তা নিয়ে ভারতের বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন দেখা গেছে।