বাড়িতে পাওয়া গেল ‘জগ্গা জাসুসের’ অভিনেত্রীর মৃতদেহ

Looks like you've blocked notifications!
‘জগ্গা জাসুস’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী বিদিশা বেজবরুয়া। ছবি : এনডিটিভি

এবার মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাটে মিলল ‘জগ্গা জাসুস’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রীর মরদেহ। গুরুগাঁওয়ে ‘সুশান্ত আবাসিকে’ নিজের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে বিদিশা বেজবরুয়া নামে ওই অভিনেত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী নিশীথকে গ্রেপ্তার করেছে। 

বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের কাছে পুলিশ জানিয়েছে, বিদিশার মরদেহ উদ্ধারের পর তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে নিশীথকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে গুরুগাঁও পূর্ব এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দীপক সাহারান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অভিনেত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গুরুগাঁওয়ের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে দরজা ভেঙে বিদিশার ঝুলন্ত মৃতদেহের সন্ধান মেলে।

বিদিশার বাবার বরাত দিয়ে এএনআই আরো জানায়, গত শনিবার মুম্বাইয়ের উদ্দেশে আসাম ছেড়েছিলেন তিনি। এরপর সোমবার থেকে বিদিশার মোবাইলে ফোন দিয়ে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। একসময় মোবাইলটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পুলিশের কাছে মেয়ের নিখোঁজ জানিয়ে তেজপুর থেকে গুরুগাঁও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিদিশার বাবা। 

এদিকে সুশান্ত অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিদিশাকে সর্বশেষ সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছিল সোমবার। ওই দিন তাঁকে অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকতে দেখা যায়। এর পর থেকে তাঁকে আর দেখতে পাননি কেউই।

বিদিশা ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি আসামের লোকনৃত্যশিল্পী হিসেবে প্রথম পাদপ্রদীপের তলায় আসেন। এরপর টিভিতে উপস্থাপিকা হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছিলেন। উপস্থাপনার পাশাপাশি বহু নাটকেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া সংগীতশিল্পী হিসেবেও তাঁর পরিচিতি ছিল।

সর্বশেষ রণবীর কাপুরের ‘জগ্গা জাসুস’ চলচ্চিত্রে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করে বলিউডের স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়েছিলেন প্রতিভাময়ী এ শিল্পী। কিন্তু তাঁর স্বপ্নপূরণের আগেই চলে গেলেন বিদিশা।

এদিকে দীপক সাহারান জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে একে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই সন্দেহ করছে পুলিশ। কারণ আত্মহত্যার সময়ে বিদিশার ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে লাগানো ছিল। আর কেউ ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন না।

তবে বিদিশার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী নিশীথকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে বিদিশার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এত সুচারুভাবে কাজটি করা হয়েছে, যাতে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়। তিনি এ ঘটনায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ স্যানাল ও হরিয়ানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টারকে অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই দুই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বলে এএনআইয়ের কাছে জানিয়েছেন তিনি।