আত্মঘাতী হামলার পোশাক পরতে গিয়ে বিস্ফোরণ, ৩০ জঙ্গি নিহত

আত্মঘাতী বোমা হামলার প্রশিক্ষণ চলছে আফগানিস্তানে। শহরের বাইরে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে বেশ কজন জঙ্গি গভীর মনোযোগে শিখছেন বোমা হামলার যত খুঁটিনাটি। কীভাবে বোমা হামলার বিশেষ পোশাক পরতে হয়, কীভাবে ঘটায় বিস্ফোরণ।
এরই মধ্যে হঠাৎ জঙ্গি হামলার পোশাক পরতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলল একজন। মুহূর্তেই বিস্ফোরণ। আর এই বিস্ফোরণে মারা গেছেন অন্তত ৩০ জন তালেবান জঙ্গি। আহত হয়েছেন আরো বেশ কজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহ প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা বালা বুলকের পিওয়া পেসাওয়েতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রাদেশিক সরকারের এক মুখপাত্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ওই মুখপাত্র জানান, সরকারি বাহিনীর ওপর হামলার উদ্দেশ্যে জঙ্গিরা এক প্রশিক্ষণ শিবিরে জড়ো হয়েছিল। সেখানে শেষমুহূর্তের প্রশিক্ষণে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা জ্যাকেট পরে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আকস্মিক এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ৩০ জঙ্গি নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়।
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপর সেখান থেকে ৩০টি মৃতদেহ ও গুরুতর আহতাবস্থায় নয়জনকে উদ্ধার করে তারা। সরকারের মুখপাত্র জানান, পুলিশ পৌঁছার আগে অপেক্ষাকৃত কম আহতদের সরিয়ে ফেলেছিল তালেবানরা।
তবে এ বিষয়ে আফগানিস্তানের তালেবান জঙ্গিদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত সোমবার আফগানিস্তানের উত্তরে সার-ই-পুল প্রদেশের সিদ জেলায় সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলায় বেসামরিক নারী ও শিশুসহ ৫৮ জন নিহত হয়েছিল। এ হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) উভয়কেই দায়ী করছিল দেশটির সরকার।
সার-ই-পুল প্রদেশের গভর্নর জাহরিন রেজভি জানিয়েছিলেন, সেদিন সকালে জঙ্গিরা প্রথমে পুলিশের একটি নিরাপত্তা চৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। হামলার পর স্থানীয় পুলিশ জঙ্গিদের ধাওয়া করলে দুপুরের পর তারা পাশের একটি শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে ঢুকে স্থানীয় নারী-পুরুষ ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করে।
ওই হামলার পর বিবৃতি দিয়েছিল আফগান তালেবান। বিবৃতিতে জঙ্গিগোষ্ঠীটি জানায়, এক হামলায় ২৮ সরকারসমর্থিত মিলিশিয়া পুলিশকে হত্যা করেছে তারা। তবে কোনো বেসামরিক নাগরিককে হত্যার কথা অস্বীকার করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠীটি।