আইএসের হামলায় আত্মঘাতী মুরগি!
জঙ্গি হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে আত্মঘাতী মুরগি! শরীরে বোমা লাগানো অবস্থায় মুরগির ছবি প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ‘আত্মঘাতী মুরগি’ শত্রু এলাকায় ছেড়ে দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
আইএসের ছবিতে দেখা যায়, শরীরে বিস্ফোরকের থলে যুক্ত করে মুরগিকে চলমান বোমায় পরিণত করা হয়। ধারণা করা হয়, এসব ‘আত্মঘাতী মুরগি’কে শক্তিশালী শত্রুঘাঁটির আশপাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে মুরগি শত্রু এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের (রিমোট কন্ট্রোল) মাধ্যমে এর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
তবে আইএসের এমন উদ্ভাবনকে রসদ ফুরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন অনেকে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারের মতে, আইএসের রসদ ফুরিয়ে আসছে আর সরবরাহ ব্যবস্থাও নাজুক। এর আগেও ইরাক ও সিরিয়ায় থাকা আইএস যোদ্ধারা মর্টার শেল, গ্যাসের পাত্র ও সার দিয়ে বোমা তৈরি করেছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইএসের প্রকাশিত ছবিতে বিপণিবিতানে ব্যবহৃত ট্রলি দিয়ে মেশিনগান বাহন তৈরি করতে দেখা গেছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্য থেকে আইএসে যোগ দিতে চাওয়া তরুণদের নিবৃত্ত করতে অন্য রকম উদ্যোগ নিয়েছেন ডেভিড ক্যামেরন নেতৃত্বাধীন সরকার। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কোনো বাবা-মা চাইলে আইএসে যোগ দিতে ইচ্ছুক সন্তানদের পাসপোর্ট বাতিল করতে পারেন। একই সঙ্গে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আইএসে যোগ দিতে ইচ্ছুক এমন তরুণদের পরিচয় প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। একই সঙ্গে মৌলবাদী মনোভাব ছড়ানো বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
দেশে জঙ্গিবাদ বন্ধে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা ঘোষণার সময় ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, আইএস গণহত্যাকারী ও শিশু ধর্ষক। যুক্তরাজ্যের যুবসমাজকে ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের পক্ষে যুদ্ধ করতে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করছে আইএস।