উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষায় উপদ্বীপে ভূকম্পন

Looks like you've blocked notifications!

আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে বহনযোগ্য হাইড্রোজেন বোমা তৈরির ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টায় মাথায় উত্তর কোরিয়া ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিবেশী জাপান। এর প্রভাবে ৫.৬ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে কোরীয় উপদ্বীপে।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কনোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এটা নিশ্চিত যে, পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের কারণে উত্তর কোরিয়ায় কম্পনের সৃষ্টি হয়েছে।

এর কিছু পরেই স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টায় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে, তাঁরা হাইড্রোজেন বোমার সফল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, ‘সম্ভাব্য বিস্ফোরণের’ কারণে এই কম্পন সৃষ্টি হয়েছে। যার গভীরতা ছিল ২৩ কিলোমিটার।

‘সম্ভাব্য বিস্ফোরণের’ কথা উল্লেখ করে চীনের ভূমিকম্প প্রশাসন বলছে, ৫.৬ মাত্রার কম্পনের পর ১ সেকেন্ড স্থায়িত্বের ৪.৬ মাত্রার আরেকটি কম্পন তারা রেকর্ড করেছে, যা ধস ঘটাতে সক্ষম।

কম্পনটি উত্তর কোরিয়ার কিলজু কান্ট্রিতে হয়েছে। আর এখানেই দেশটির পরমাণু পরীক্ষা স্থাপনা অবস্থিত বলে নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, উত্তর কোরিয়ার ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাঝারি আকারের কম্পনের কারণে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই অঞ্চলটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) এবং পরমাণু অস্ত্রের কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।

এর আগে পরমাণু পরীক্ষা চালানোর কারণে ২০০৬ সালের অক্টোবরে ৪.৩, ২০০৯ সালের মেতে ৪.৭, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫.১, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ৫.১ ও একই বছরের সেপ্টেম্বরে ৫.৩ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়।