‘সু চির গুণ কাজে লাগাতে’ বললেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে সতর্ক করে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর যে আচরণ করা হচ্ছে, তার ফলে দেশটির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

আজ রোববার জনসন আরো বলেন, রাখাইন রাজ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের অবসান ঘটাতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চির উচিত তার অসাধারণ সব গুণ কাজে লাগানো।

সপ্তাহখানেক আগে রাখাইনে ছড়িয়ে সহিংসতার পর এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার (জাতিসংঘ বলছে ৭৩ হাজার) রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এছাড়া সরকারি হিসেবে চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে, যার বেশি ভাগই রোহিঙ্গা।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ২০টির বেশি পুলিশচৌকিতে হামলার পর তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।

মিয়ানমারের দরিদ্রতম রাজ্য রাখাইনে ১০ লক্ষাধিক মানুষের আবাস। ২০১৬ সালে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন হতিন কিয়াও। কারণ সংবিধানে সু চিকে প্রেসিডেন্ট হতে নিষেধ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসন বলেন, ‘আমাদের সময়ের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচেনা করা হয় সু চিকে, এটা ঠিকই বলা হয়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ওপর যে আচরণ করা হচ্ছে, তার ফলে মিয়ানমারের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তিনি (সু চি) তার দেশকে আধুনিক করার ক্ষেত্রে বিপুল সমস্যার মুখোমুখি। আমি আশা করি, তিনি এখন তার দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে, রাখাইনে মুসলিম ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর বিদ্বেষ থামাতে অসাধারণ সব গুণ ব্যবহার করবেন।’

জনসন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বার্মিজ সামরিক বাহিনীর সমর্থন আছে তার এবং তার শান্তি অবস্থা সৃষ্টির প্রচেষ্টা হতাশাজনক নয়। তিনি ও বার্মার সবাই আমাদের পূর্ণ সমর্থন পাবেন।’

মিয়ানমারে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তদবির চালায় বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে নামের একটি সংগঠন। এর পরিচালক মার্ক ফারমানার বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসনের উচিত ছিল মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিং অং হ্লেইং-এর সমালোচনা করা। তার অধীনস্ত সেনাসদস্যরাই রোহিঙ্গাদের হত্যা করছে।