আগামী নির্বাচনে একাই লড়ার ঘোষণা মমতার

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোনো দলের সাহায্য ছাড়া একা লড়ার ঘোষণা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার কলকাতার ধর্মতলায় ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক সভায় এ ঘোষণা দেন মমতা।
তৃণমূল কংগ্রেস বড় জয় পাবে আশা প্রকাশ করে এ তৃণমূল নেত্রী বলেন, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল একাই লড়বে এবং বিশাল জয় পাবে। আগামী নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের আসন আরো কমবে বলেও আশা করেন এ তৃণমূল নেত্রী।
মোদি সরকারকে উদ্দেশ করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যতই বাংলার বুকে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হোক, বাংলাকে যতই ভাগ করার চক্রান্ত করা হোক, আমরা বাংলাকে কোনোভাবেই ভাগ হতে দেব না। দাঙ্গা লাগাতেও দেব না।’ তিনি বলেন, যারা দাঙ্গা করে তারা রাজনীতি করতে জানে না। দাঙ্গাকে বাংলার মানুষ কোনোদিন সমর্থন করেনি, আগামীতেও করবে না। দাঙ্গাবাজদের এই রাজ্যে ঠাঁই নেই। বাংলার মানুষ তাদের ঠাঁই দেবে না।
পশ্চিমবঙ্গের এ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপির কোনো নীতি-আদর্শ নেই। ওই দলগুলো হ-য-ব-র-ল হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মা-মাটি-মানুষের সরকার চার বছরে ৩৯ লাখ বেকার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দিয়েছে। আগামী বছরে আরো দুই লাখ বেকার তরুণ-তরুণীকে চাকরি দেওয়া হবে।
এ সময় মমতা মোদি সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পই আজ সারা বিশ্বের মডেল। আমাদের কন্যাশ্রী প্রকল্পই হলো আসল বেটি বাঁচাও, মোদি সরকারেরটা হলো বেটি হটাও।”
এ ছাড়া মমতা মোদির স্বচ্ছ ভারত নির্মাণকেও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘ওরা মুখে স্বচ্ছ ভারত নির্মাণ বললেও আসলে কাজ করে দেখাচ্ছে বাংলা।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন বামফ্রন্ট শাসিত জ্যোতি বসুর সরকারের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক গণতন্ত্রকামী শান্তি মিছিলে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। সেদিন পুলিশের গুলিতে ১৩ জন নিহত হন। সেই থেকে প্রতিবছর তৃণমূল দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে ও নিহতদের স্মরণে নির্মিত কলকাতার ধর্মতলার শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।