‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের’ একতরফা অস্ত্রবিরতি

Looks like you've blocked notifications!

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই ডজনেরও বেশি ক্যাম্পে হামলার পর আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামে যে ‘বিদ্রোহী’ সংগঠনটি দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিল, এবার তাঁরা একতরফাভাবেই অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ রোববার থেকে এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর করার কথা বলা হলেও এ ব্যাপারে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আরসা গতকাল শনিবার এই বিবৃতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।  

মিয়ানমার সরকারের দাবি, গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ‘বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের’ সংগঠন আরসা এই হামলার দায় স্বীকার করে।

এ ঘটনার পর পরই মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সীমান্তে এখনো শরণার্থীদের ঢল রয়েছে। এর মধ্যেই আরসার পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এলো।

রাখাইনের মানবিক সংকট বিবেচনায় নিয়ে এই অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা’ আশা করছে, প্রতিপক্ষ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও তাতে সাড়া দেবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোকেও রাখাইনে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।  

রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বিচারে গ্রামের পর গ্রামে হামলা-নির্যাতন চালাচ্ছে। পুরুষদের গুলি করে মারছে আর নারীদের ধর্ষণ করছে। মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে। 

অপরদিকে মিয়ানমার সরকারের দাবি, ‘বিদ্রোহী সন্ত্রাসীরা’ এখন পর্যন্ত রাখাইনের প্রায় দুই হাজার ৬০০ বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।