রাখাইনে ১৭৬ গ্রাম রোহিঙ্গাশূন্য
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১৭৬টি গ্রাম জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে। এ গ্রামগুলোতে রোহিঙ্গাদের বাসিন্দা ছিল। দেশটির রাষ্ট্রপতির মুখপাত্রের বরাতে মিয়ামি হেরাল্ড জানায়, চলমান সহিংসতায় গ্রামগুলোর বাসিন্দারা পালিয়ে গেছে।
মিয়ানমার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র জাও হাতিয়ে বলেন, রাখাইন রাজ্যের তিনটি শহরে সর্বমোট ৪৭১টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে ১৭৬টি গ্রাম এখন শূন্য। এদের অনেকেই পাশের ৩৪টি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই দেশ ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে।
গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা জঙ্গিরা রাখাইন রাজ্যের পুলিশ থানায় হামলা চালায় এবং ১২ জন নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে। এরপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।
রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীদের এই মুখপাত্র বাঙালি বলে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে এই রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে বলে তাঁর দাবি। রাখাইন রাজ্য থেকে যারা পালিয়ে অন্য দেশে চলে গেছে, তাদের মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যাচাই বাছাই ও পরিচয়পত্র দেখে এই রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা বলেন তিনি।