ঋতুস্রাবের সঙ্গে অভ্যুত্থানের তুলনা, মুকুট হারালেন মিস তুর্কি

Looks like you've blocked notifications!

মুকুটজয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই আবার সেটি হারালেন মিস তুর্কি‍! মেয়েদের ‘পিরিয়ড’ বা ঋতুস্রাব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটি তাঁর মুকুটটি কেড়ে নেয়।

ইতির ইসেন (১৮) নামের ওই তরুণী ২০১৭ সালের তুরস্কের জাতীয় সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ‘মিস তুর্কি’ বিজয়ী হন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির রাজধানী ইস্তাম্বুলে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৮ নভেম্বর চীনে অনুষ্ঠেয় মিস ওয়ার্ল্ড সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তুরস্কের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল তাঁর।

আয়োজক কমিটি বলছে, ইসেনের অপ্রীতিকর টুইট আবিষ্কারের পর এটা কখনোই সম্ভব হতে পারে না।

২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়। তবে সেটি ব্যর্থ হয়। এর পর থেকে অভ্যুত্থানে নিহতের স্মরণে ১৫ জুলাই দেশটিতে শহীদ দিবস পালন করা হয়।
ইসেন তাঁর ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি অভ্যুত্থানের রক্তপাতের ঘটনাকে নারীদের ঋতুস্রাবের রক্তের সঙ্গে তুলনা করেন। 

ইসেন লেখেন, ‘আজ সকালেই আমার ঋতুস্রাব হয়েছে। আমি অভ্যুত্থানে শহীদদের পক্ষে রক্তপাতের মধ্য দিয়েই দিনটিকে উদযাপন করছি।’

আয়োজকরা বলছে, প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণার পর তাঁরা ইতির ইসেনের টুইটটি দেখেছেন। এরপর পোস্টটির সত্যতা যাচাই করার জন্য কয়েকজন ঘণ্টা বৈঠকও করেছেন।

মিস তুর্কি প্রতিযোগিতার প্রধান ক্যান স্যান্ডিকসিগলু এক বিবৃতিতে বলেছেন, সেই টুইটটি ইসেন নিজেই পোস্ট করেছেন।

ইসেন তাঁর মুকুটটি প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা আসলাই সুমেনের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এখন ইসেনের পরিবর্তে সুমেনই মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা তুরস্কের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চীনে যাচ্ছেন।

এ ঘটনার পর অবশ্য ইসেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে টুইট নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ওই পোস্টটি তিনি কাকতালীয়ভাবে লিখেছেন। সেখানে কোনো রাজনৈতিক প্ররোচনা ছিল না। সেই সঙ্গে তিনি যেকোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝির জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।