রাশিয়ার ‘মানুষখেকো’ দম্পতি

Looks like you've blocked notifications!

রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ক্রাসনোদারের এক দম্পতি দিমিত্রি বাকসিভ ও নাতালিয়া বাকসিভা। তাঁদের শারীরিক গড়ন, চেহারা আর দশটা মানুষের মতো হলেও স্বভাব একেবারেই ভিন্ন। সকালের নাশতায় স্বাভাবিক মানুষের প্লেটে যেখানে থাকে হরেক রকম খাবার আর ফলমূল, সেই দম্পতির প্লেটে সে রকমভাবেই থাকত মানুষের মস্তকসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।

১১ সেপ্টেম্বর থেকে এই দম্পতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩০ জন মানুষকে হত্যার পর কেটে খাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ক্রাসনোদারের একটি রাস্তা থেকে সংস্কারকর্মীরা একটি মুঠোফোন পান। পরে সেটি স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই ফোনের বেশ কিছু ছবি দেখতে পায় পুলিশ। সেই ছবির সূত্র ধরেই দিমিত্রি ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মানুষকে হত্যার পর খাওয়ার বিষয়টি প্রথমিকভাবে স্বীকার করেন তাঁরা। পরে আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

তদন্ত শুরুর পর থেকে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে একে একে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য।

রাশিয়ার তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সেই ফোনে ১৯৯৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের একটি ছবিতে দেখা যায়, ফলের একটি প্লেটে মানুষের একটি বিচ্ছিন্ন মাথা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তদন্তের পর এই দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিবিসি জানায়, পুলিশের হেফাজতে দিমিত্রি বাকসিভ স্বীকার করেন, গত দুই দশকে স্ত্রীর সঙ্গে তিনি ৩০টি মানুষকে হত্যার পর মাংস খেয়েছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি এই নেশায় মত্ত হন।