স্বাধীনতা চান ইরাকের কুর্দিরা

Looks like you've blocked notifications!
ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের স্বাধীনতার দাবিতে অনুষ্ঠিত গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট বেশি পড়েছে। ছবি : রয়টার্স

ইরাক থেকে আলাদা হতে চায় আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইরাকি কুর্দিস্তান। এ নিয়ে আয়োজিত গণভোটে অংশ নেওয়া কুর্দিদের ৯২ দশমিক ৭২ শতাংশ রায় দিয়েছেন স্বাধীনতার পক্ষে।

গত সোমবার ইরাকি কুর্দিস্তানে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ৩৩ লাখ পাঁচ হাজার ৯২৫ জন। গণভোটের ফল ঘোষণা করা হয় বুধবার।  

আলজাজিরার খবরে বলা হয়, আঞ্চলিক উত্তেজনা ও আন্তর্জাতিক বিরোধের মধ্যেই গণভোট অনুষ্ঠিত হয় কুর্দিস্তানের এরবিল ও ইরাকের রাজধানী বাগদাদের মধ্যবর্তী অমীমাংসিত অঞ্চল এবং তেলসমৃদ্ধ কিরকুকে। এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন কুর্দিরা। 

ভোটের পর প্রায় সবাই স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন বলে জানান অংশগ্রহণকারীরা। তবে এর পর কী হবে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, সামনে তাঁদের জন্য অনেক সমস্যা অপেক্ষা করছে। 

গণভোটের বিষয়ে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের (কেআরজি) প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি জানান, এই গণভোটের ফলে এখনই কুর্দিস্তানের স্বাধীনতা পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এর মাধ্যমে আলোচনার দরজা খুলে যাবে।

তবে বুধবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবেদি এই গণভোটকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে জানান, এই ফলকে কোনো আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ধরা যাবে না। এর পর ইরাকি পার্লামেন্ট এরবিল থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে কিরকুক শহরের তেলক্ষেত্রগুলোর দখল নিতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়।

গত সপ্তাহে কুর্দিস্তানের এরবিল ও সুলাইমানিয়া শহরের বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধের জন্য বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানায় ইরাক সরকার। এতে সাড়া দিয়ে কুর্দিস্তানের সঙ্গে শুক্রবার থেকে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করার কথা জানায় লেবানন। 

এদিকে, গণভোটের বিষয়ে কুর্দিস্তানকে চাপে রেখেছে সীমান্তবর্তী দেশ তুরস্ক, ইরানসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। গত সোমবার এর বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

এরদোয়ান বলেন, ‘যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে ইরাকের সীমান্তে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তৈরি আছে।’ তিনি বলেন, এই গণভোটের পরিপ্রেক্ষিতে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের কেআরজির তেল রপ্তানি আটকে দিতে পারে তুরস্ক।

‘আমরা তুরস্ক থেকে কাউকে বা কোনো কিছু ইরাকে প্রবেশ করতে দেবো না। আমরা সীমান্ত বন্ধ করে দেবো। সীমান্ত দিয়ে কোনো কিছুই যেতে পারবে না’, বলেন এরদোয়ান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়ে আরো বলেন, ইরাকের সঙ্গে তুরস্কের একমাত্র স্থলসীমান্ত হাবুরের প্রবেশ-প্রস্থান বন্ধ করে দেওয়া হবে।