পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলায় নিহত ১৩, জরুরি বৈঠকে মোদি
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাবাহিনীর পোশাক পরে জঙ্গীরা পুলিশ স্টেশন ও বাসে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আট পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুরুদাসপুরের পুলিশ সুপার বালজিত সিং। আজ সোমবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে হিরানগরের গুরুদাসপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনীর সূত্রে এনডিটিভি জানিয়েছে, জঙ্গীরা একটি মারুতি গাড়িতে করে এসে পুলিশ স্টেশনে অবস্থান নেয়। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি চলছে। হামলার সময় পাঁচ থেকে ছয় পুলিশ সদস্য পুলিশ স্টেশনে ছিলেন। এ ছাড়া পাঞ্জাবের সড়কে চলাচলরত বাসে জঙ্গিদের হামলার ঘটনায় চারজন নিহত ও সাতজন আহত হয়।
দিনানগর পুলিশ স্টেশনের অদূরে রেললাইন থেকে পাঁচটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আগে থেকেই ভালোভাবে হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গীদের, যাতে সর্বোচ্চ ক্ষতি করা যায়।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা শংকায় এরই মধ্যে দিনানগর ও পাঠানকোটের মধ্যে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাঠানকোট মহাসড়কও।
পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিরা সেনা পোশাকে সাদা মারুতি গাড়িতে করে পুলিশ স্টেশনে ঢুকে গুলি চালায়। এ সময় দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন।
এরপর আরো তিন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে তারা। বাকিরা জঙ্গিদের সাথে গুলিবিনিময়ের সময় নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কয়েকজন জঙ্গি নিহত হওয়ার আলামতের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ঘটনাস্থলটি ঘিরে রেখেছে। সেনাসদস্যরাও দিনানগরে গেছে। চৌকস ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড প্রস্তুত রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, তিনি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে (বিএসএফ) ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে পাঞ্জাব হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে রয়েছেন মন্ত্রিসভার শীর্ষ মন্ত্রীরা। রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এল সি গোয়েল।