বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা
দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ চলার পর শান্ত হলো পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর। তবে ওই জঙ্গিহানার জেরে দেশটির সীমান্তসহ সারা ভারতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর জেরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফের) এক পরিপত্রে জানা গেছে সর্বোচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে সৈনিকদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিকেলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে সতর্ক প্রহরা দিচ্ছেন সৈনিকরা।
জম্মুর সীমান্তের কাছে পাঞ্জাব রাজ্যের গুরুদাসপুরের দিনানগর থানায় সোমবার সকালে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর সূত্রে জানা গেছে, আত্মঘাতী ওই হামলায় আট পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গুরুদাসপুরের পুলিশ সুপার বালজিত সিং। ভোর পৌনে ৬টার দিকে হিরানগরের গুরুদাসপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই জঙ্গিদল প্রথমে একটি যাত্রীবোঝাই বাসে হামলা চালানোর পর থানায় ঢুকে।
এদিকে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পাঞ্জাবের থানায় জঙ্গি হামলায় যোগসাজস আছে পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের। পাকিস্তানের নারোয়াল দিয়ে ভারতে ঢুকে জঙ্গিরা। কয়েকদিন আগে কাশ্মীর থেকে কয়েকজন জঙ্গিকে পাঞ্জাবে নিয়ে আসার কারণেই এই জঙ্গি হামলা কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সন্ধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং গণমাধ্যমকে জানান, সব সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া এই হামলার পর পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্তু কখনই তা দেশের সম্মানের বিনিময়ে নয়। পাঞ্জাবের এই জঙ্গি হামলার যোগ্য জবাব ভারত দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রাজনাথ বলেন, ‘ভারত শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করলেও সীমান্তে কেন সন্ত্রাস বাড়ছে? আমাদের প্রতিবেশীদের বলতে চাই, আমরা শান্তি চাই, কিন্তু জাতীয়তাবাদের বিনিময়ে নয়। ভারত কখনই হামলা চালাবে না, তবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে অবশ্যই প্রত্যুত্তর দেবে।’