ব্যাগে মিলল সুইডিশ সাংবাদিকের মাথা, দুই পা

Looks like you've blocked notifications!

সুইডেনের নিখোঁজ নারী সাংবাদিক কিম ওয়ালের মাথা ও দুই পা খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ডেনমার্কের পুলিশ। এর কিছু দিন আগে তাঁর ধড় পাওয়া যায়।

আজ শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন শহরের পুলিশ পরিদর্শক জেনস মলার জেনসেন বলেন, শহরের দক্ষিণে কোজ উপসাগরে কয়েকটি ব্যাগে মাথা, দুই পা, জামাকাপড় পাওয়া গেছে।

গত ১০ আগস্ট মহাকাশবিষয়ক প্রকৌশলী পিটার ম্যাডসেনের ডুবোজাহাজে ওঠেন কিম ওয়াল। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তিনি একটি সংবাদ লেখার কাজে ডুবোজাহাজে উঠেছিলেন।

এ ঘটনায় ম্যাডসেনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনে পুলিশ। তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন। মরদেহ বিকৃত করার অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।

পরিদর্শক মোলার বলেন, শুক্রবার পাওয়া ব্যাগগুলোয় ধাতবখণ্ড ভরা ছিল, যার মাধ্যমে ওজন বাড়ানো হয়েছিল। এর ফলে ব্যাগগুলো সহজেই ডুবে সমুদ্রের তলদেশে চলে যায়।

পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে খুলিতে কোনো ফাটল নেই অথবা সহিংসতার চিহ্ন নেই। এটা ম্যাডসেনের বক্তব্যের সঙ্গে মিলে না। তিনি বলেছিলেন, দুর্ঘটনাবশত কিম ওয়ালের মাথায় ধাতব ভারী ঢাকনার আঘাত লাগে। এতে তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রথমে ম্যাডসেন বলেন, তিনি ওই সাংবাদিককে কোপেনহেগেনে নিরাপদে রেখে এসেছেন। পরে আবার বলেন, মারাত্মক দুর্ঘটনা হয়েছিল এবং তিনি কিমের মরদেহ সমুদ্রে সমাহিত করেন। এ ঘটনায় ম্যাডসেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও দাবি করেন।

২১ আগস্ট সাংবাদিক ওয়ালের ধড় পাওয়ার পর এর ময়নাতদন্ত করা হয়। এতে জননাঙ্গ ও বুকে ছুরির আঘাত পাওয়া যায়।

ডেনমার্কের আইনজীবী জ্যাকব বুচ-ইয়েপসেন আদালতকে বলেন, ডুবোজাহাজে একটি হার্ড ড্রাইভ পাওয়া গেছে, যেটি ম্যাডসেনের বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নারীদের শিরশ্ছেদ করার ভিডিওচিত্র রয়েছে। তবে ম্যাডসেন বলেন, ওই হার্ড ড্রাইভ তাঁর নয়।